কুরআনের ৫ টি বৈজ্ঞানিক ভুল
কুরআনে কি বৈজ্ঞিানিক ভূল আছে? অনেক মুসলিম প্রচারক এটা প্রচার করেন কোরানে কোন বৈজ্ঞানিক ভুল নেই। তবে চলুন আজকে আমরা কোরান থেকে ৫টি বৈজ্ঞানিক ভুল দেখবো।
সূরা ১১, হূদ আয়ত ৪০ দেখবো। যেখানে লৌহ নবির বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এই আয়াতে পরিষ্কার ভাবে দেখানো হয়েছে মাটি থেকে পানি বের হয়ে এসেছিল। এই জিনিস টা সম্পূর্ণ রূপে অবৈজ্ঞানিক কথা, তার কারন বৃষ্টি ছাড়াই মাটির তলা থেকে পানি উঠে মহা প্লাবন হয়েছিল, এটা অবিশ্বাস্ব কথা এবং অবৈজ্ঞানিক কথাতো বটেই কারন বাস্তবে এটা সম্ভবপর নয়। সূরা ১১ হুর। আয়াত ৪০ থেকে ৪৪ পর্যন্ত কোথাও বৃষ্টির বিষয়ে কিচ্ছু উল্লেখ করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে ভূপৃষ্ঠের তল থেকে পানি উঠে মহা প্লাবন করেছিল যা এক কথায় বৈজ্ঞানি ভুল ছাড়া আর কিছুই না।
সূরা-২ বাকারা, আয়াত ২৯, এখানে সুস্পষ্ট ভাবে লেখা আছে আল্লাহ প্রথমে পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টি করেছেন তার পরে তিনি আকাশের দিকে মনোযোগ করেছেন তার পরে তিনি আকাশকে সৃষ্টি করেছেন সেটাকে তিনি সপ্ত আকাশে পরিনত করেছেন এটাকি বর্তমান যুগের কোন বিজ্ঞানি বিশ্বাস করে? একটা সাইন্সের ছাত্র হলেও সে এটা বিশ্বাস করবেনা যে প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে এবং তারপর আকাশ সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কোরান এখানে সুস্পষ্ট বলেছে প্রথমে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে এবং তারপরে আকাশের সৃষ্টি হয়েছে যা এক কথায় বৈজ্ঞানি ভুল।
সূরা -২১ আম্বিয়া, আয়ত-৩১ এখানে লেখা আছে আল্লাহ্ পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং পৃথিবীতে তিনি পর্বত স্থাপন করেছেন যার কারনে পৃথিবী এদিক ওদিকে ঢলে পরেনা। এটা মুলত রূপকথার গল্পে বিশ্বাস যোগ্য হতে পারে কিন্তু বাস্তবিক জীবনে এই কথা কেউ বিশ্বাস করবেনা যে পাহাড়ের কারনে পৃথিবী ঢোলে পরেনা। এটা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক কথা।
সূরা -২৪ নূর, আয়াত-৪৩ এই আয়াতে সুস্পষ্ট ভাবে লেখা আছে কিভাবে বৃষ্টিপাত হয় এই বিষয়ে, কিন্তু এখানে আশ্চর্য জনক বিষয় হচ্ছে আল্লাহ এখানে বলছেন তিনি আকাশের শিলা স্তুপ থেকে শিলার পাহাড় থেকে তিনি শিলা অর্থাৎ বরফ তিনি নিক্ষেপ করেন এবং যাকে ইচ্ছা তাকে আঘাত করেন এই আয়তটি সম্পর্ন অবৈজ্ঞানিক কারন মেঘের উপরে কোন পাহাড় কোন পর্বত কোন শিলা স্তুপ নেই। মূলত যিনি এই আয়াতটি লিখেছিলেন তার মেঘ সম্পর্কে ভাল ধারনা ছিলনা তিনি হয়ত মনে করেছিলেন আকাশের উপরে হয়ত শিলা স্তুপ রয়েছে এবং সেখান থেকে নিশ্চই শিলা বর্ষন হয় এবং আল্লাহই এটা করেন এটা হচ্ছে রূপকথার গল্প যেটা বাস্তবে সময় একটা হাস্যকর বিষয় ছাড়া আর কিচ্ছু না।
সূরা-৭৫,কেয়ামত, আয়ত-৮, এখানে সুস্পষ্ট ভাবে লেখা আছে চাদের নিজস্ব আলো রয়েছে এবং কেয়ামতের সময় আল্লাহ কি করবেন, তিনি চাঁদের আলোকে কেড়ে নিবেন তার কাছ থেকে মজার বিষয় হলো এটাই, যদি চাঁদের নিজস্ব আলো থাকতো তবেই তো আল্লাহ তার থেকে তার আলো কেড়ে নিতেন চাদের তো নিজস্ব কোন আলোই নেই তবে তিনি তার থেকে কিভাবে আলো কেড়ে নিবেন। এই আয়ত থেকে সুস্পষ্ট ভাবে প্রমাণিত হয় যে কোড়ানে লেখক মূলত এটা জানতেনই না যে চাদের নিজস্ব আলো নেই। এটাও একটা বৈজ্ঞানিক ভুল।