কোরআনের সকল অনুবাদে ব্রাকেটে শব্দ ঢোকানো ছাড়া কোরআন বোঝা স্বভাব নয় কারণ পারস্যরা ভাঙা ভাঙা অপরিপক্ক আরবি ভাষার ব্যাকরণ বানিয়ে গোজামিল আরবি ভাষা তৈরী করেছিলেন ! কোরআনের কিছু পাতা ছাড়া প্রাচীন আরবি কবিতাগুলোর কোন লিখিত প্রমানাদি নেই, যদিও অন্য ভাষায় আরও প্রাচীন প্রচুর মনাস্ক্রিপ্ট পাওয়া যায় ! প্রাচীনতম আরবি কবিতা সংগ্রহ “মুয়াল্লাকাত” এর সংগ্রাহক ছিলেন অষ্টম শতাব্দীর হাম্মাদ আল রোইয়া নামক এক পারস্য ব্যক্তি !
কোরআনের প্রথম অন্য ভাষায় অনুবাদক ছিলেন সালমান ফারসী ! বর্তমান দিনের কোরআনের প্রাচীনতম পৃষ্ঠাগুলোর একটিও মক্কা মদিনা অঞ্চলে পাওয়া যায়নি ! কোরআনের আরবি এমন গ্রামারবিহীন ভাঙা ভাঙা ভাষা যে খোদ আরবরাই এই আরবিকে বর্তমানে অনেক সমৃদ্ধ করে যৌগিক উন্নত আরবি করেছে ! এমনকি কোরআনেও এই যৌগিক প্রচেষ্টার
প্রমাণ পাওয়া যায় ! যেমন সিনাই পর্বতের নামটি সূরা ২৩ এর ২০ নম্বর আয়াতে আরবি সিনাই নাম থাকলেও সূরা ৯৫ এর ২ নম্বর আয়াতে আছে হিব্রু সিনিন শব্দ ! কুরাইশ বা যে কোন গোত্র একই অঞ্চলে একই এলাকাকে একই বইয়ে দুই কবিতায় দুই ভাষা ব্যবহার অস্বাভাবিক যদি না কবিতা দুটি দুই ভিন্ন অঞ্চলে লিখা না হয় !
বিশেষ করে যখন বাঙালিরা সবাই “আইনজীবী” শব্দটির অর্থ জানে। কোরআনের এই বিদেশী শব্দগুলোর ব্যবহার অনেক অমুসলিমদেরকেও কোরআনের বিশুদ্ধতা নিয়ে সন্দেহে ফেলতো এবং তারা ভাবতো নিশ্চয়ই কোরআন অন্য ভাষা থেকে নকল করা হওয়ায় অনেক বিদেশী শব্দ সেখানে রয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ এই ব্যাপারে চ্যালেঞ্জ করে বলেন তা ঠিক নয়,
কারণে কোরানে আরবি مُّبِينٌ বা পরিষ্কার (সূরা ১৬: ১০৩; সূরা ২৬: ১৯৫) ! প্রশ্ন, বোঝার জন্য বিদেশী শব্দ বেশি পরিষ্কার না দেশি শব্দ ? অতয়েব مُّبِينٌ শব্দটি দ্বারা পরিশুদ্ধতাই দানি করেছেন কিন্তু তা কোরআনের ভাষায় প্রমাণিত নয়। আরও বলা যেতে পারে না কোরআনে নবীদের নামগুলো হিব্রু অথচ “মুহাম্মদ” নামটি আরবি দাবি করা হয়। অথচ এই مُحَمَّد শব্দটি
আরবি প্রচলিত গ্রামারে টেকে না। এটি ” নামবাচক বিশেষ্য” বা হতে পারে না। এই ধরণের নাম ” সাধারণ বিশেষ্য” হতে হবে। পুরো কোরআনে জায়গায় জায়গায় ভুলভাল বুঝ দেয়া হয়েছে। যেমন, ইয়াসিন সূরার প্রথম কয়েকটি বাক্য পড়লে আপনার মনে হবে কোরআন ইয়াসিন নামক এক নবীর উপর নাজেল হয়েছে। কয়েকটি হাদিসে মুহাম্মাদের আরেক নাম
ইয়াসিন উল্ল্যেখ আছে (https://quranicnames.com/yasin/) অথচ সূরা ৩৭ এর ১২৩ ও ১৩০ নম্বর আয়াতগুলোর আরবি ভালো করে লক্ষ্য করলেই দেখবেন কিভাবে اِلۡيَاسَ নামটিকে গ্রামের তোয়াক্কা না করে গোজামিল দিয়ে اِلۡ يَاسِيۡ বানানো হয়েছে। কোরআনে কেনই বা বাইবেলের জেনেসিস অধ্যায়ের (৩৭ থেকে ৫০) প্রায় পুরোটাই কোরআনের ১২ নম্বর সূরায়
প্রায় পুরোটাই গৃহীত হয়েছে ? কোরআনের আশেপাশের সময়ে একটি আরবি বই লিখিত হয়নি বা লেখার প্রমান নেই। কোরআনে “কিতাব” তাহলে কি “বই” বোঝানো হয়েছে ? মোটেই না। বরঞ্চ এই “কিতাব” অর্থ “বই” তা আরবিতে অনেক পড়ে প্রচলিত হয়েছে। ওই বেদুইন অঞ্চলের আরবরা “বই” শব্দটির সাথে পরিচিত ছিল না। তারা ছাল-পাথরে লিখতো। তাই আরবি ভাষায় কোরআন নামের একটি বই বাঁধাই করতে হবে আর আল্লাহ তা রক্ষা করবেন এমন ধারণা ভিত্তিহীন যেখানে সেই প্রাচীন কোরআনের আরবি ভাষাটাই অপ্রচলিত হয়ে গেছে ভাব প্রকাশে অপ্রতুল হওয়ার কারণে।