কুরআন কি আসলেই সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকে আসা কোনো কিতাব?
যুগে যুগে চিন্তাশীল মানুষরা বা দার্শনিকরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় নিজেদের মত করে স্রষ্টাকে চিন্তা করেছে। ধর্মীয় গ্রন্থগলো সেইসব চিন্তাশীল মানুষের চিন্তার প্রতিফলন। কুরআন সহ সবধরনের ধর্মীয় গ্রন্থগুলো এনালাইটিকাল মাইন্ড নিয়েএকটু গভীর ভাবে অধ্যয়ন করলেই এই পরম সত্যটা যে কেউ বুঝতে পারবে। তাছাড়া সৃষ্টিকর্তার ফিতরত এটা কখনই
হতে পারে না যে তিনি আকাশ থেকে কিছু আয়াত একটা নির্দিষ্ট ভাষাগোষ্ঠীর কাছে, নির্দিষ্ট সময়ে ও একটা নির্দিষ্ট এলাকায় পাঠিয়ে তা পুরো মানব জাতির জন্য কেয়ামত পর্যন্ত অনুসরণীয় করে রাখবেন। যদি এটাই হত তাহলে সৃষ্টিকর্তা আবিস্কার বা উদ্ভাবনের কারনে পৃথিবীর ও মানুষের জীবনের যেই পরিবর্তন ঘটে তা তিনি করতে দিতেন না। ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীর
অবস্থা যেমন ছিল ১৪০০ বছর পরেও পৃথিবীর অবস্থা তিনি তেমনই রাখতেন। আর পৃথিবীতে একটাই ভাষা ও একটাই সংস্কৃতি থাকতো। আর সেটা হল আরব ভাষা ও সংস্কৃতি।আপনি যদি নিরপেক্ষভাবে চিন্তা করেন তাহলে আপনি কখনই কুরআন দ্বারা কনভিন্সড হতে পারবেন না। চিন্তা ও গবেষণা করতে হবে নিরপেক্ষভাবে, নিজের সব ধরনের বিশ্বাসের উর্ধ্বে
উঠে। আপনি যদি কুরআন দ্বারা কনভিন্সড হন তাহলে আপনার চিন্তার ভেতরে অবশ্যই প্রচলিত ধারার কিছু বিশ্বাস আপনাকে কুরআন দ্বারা কনভিন্সড হতে বাধ্য করছে। কুরআন হাদীস এগুলো সব মানবরচিত কিতাব। যুগে যুগে শাসকরা এগুলোকে ব্যবহার করেছে মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য, মানুষের মস্তিষ্ক বা চিন্তশক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য। সুতরাং
একবিংশ শতাব্দীতে এসে এগুলো মানার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি না। এই সত্য গুলো ইসলামের তথাকথিত আলেম সমাজ কখনোই স্বীকার করবে না। কারণ এগুলো স্বীকার করলে তাদের ধর্ম ব্যবসা থাকবে না।কারণ এগুলো সব যুক্তি ও বিজ্ঞানবিরোধী। আমি বিজ্ঞানী নই তবে আমি বিজ্ঞান মনস্ক মানুষ। যদিও ৩ বছর আগে ওহাবী সালাফি
ইসলামে বিশ্বাসী ছিলাম কিন্তু আজ বুঝতে পারছি এগুলো সবই মিথ্যা। সব প্রচলিত ধর্মই মিথ্যা ও মানবরচিত এতে এখন আর আমার বিন্দু পরিমানও সন্দেহ নাই