ইসলাম যেভাবে জান্নাতের মিথ্যা আশা দেখানো হয়
ধরুন আপনি খুব চালাক একজন মানুষ, আপনি চাইছেন আপনার এলাকার মানুষের নেতা হতে এবং নিজের ইচ্ছামত তাদেরকে ব্যবহার করতে। এখন আপনার করনীয় কি? আপনার এই আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের একটি সহজ উপায় রয়েছে, তা হচ্ছে নিজেকে নবী ঘোষণা করা এবং দাবি করা যে একেবারে আল্লাহর সাথে আপনার ডাইরেক্ট কানেকশন আছে। কিন্তু লোককে আপনার কথা শোনাতে তাদেরকে নানান কাজে ব্যবহার করতে কিছু জিনিসের প্রয়োজন পড়বে। ওরা, অর্থাৎ আমজনতা কিন্তু বিনা লাভে কিংবা বিনা স্বার্থে আপনার কোনো কথাই শুনতে যাবে না। মানুষকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় দুটি
উপায়ে একটি হচ্ছে লোভ এবং আরেকটি হচ্ছে ভয়। সহজ কথায় জান্নাত এবং জাহান্নাম । আমি যদি নিজেকে নবী ঘোষণা করে আপনাদেরকে আমার আদেশ পালন করতে বলি জান্নাত জাহান্নামের কথা বলি তবে আপনারা কি তা বিশ্বাস করবেন? হ্যা, দীর্ঘদিন লেগে থাকলে এরকম কিছু লোক আমার কথা বিশ্বাস করবে কারণ এরকম কিছু লোক আহাম্বক লোক সব যুগে ছিল, আছে। শিক্ষার অভাবে একসময় বেশিরভাগ মানুষই ছিল এরকম আহম্বক এর ফলে জন্ম নিয়েছে নানান আজগুবি ধর্ম । ধর্মান্ধরা বিশ্বাস করে তারা মরার পর জান্নাত এ গিয়ে মদ নারীতে মত্ত হবে ইচ্ছামতো বিভিন্ন ফল খাবে বিশাল বিশাল
অট্টালিকায় থাকবে সোনার আসনে বসবে ইত্যাদি ইত্যাদি। যদি খরগোশ জান্নাতে বিশ্বাস করত তবে কেমন হতো, এই ছোট্ট খরগোশটি বিশাল গাজরের স্বপ্ন দেখছে। এবার আসুন মানুষের কল্পিত জান্নাতের দিকে দেখা যাক। যারা ইসলামে বিশ্বাস করেন তাদের প্রায় সকলেরই লক্ষ্য হচ্ছে একটাই এবং তা হচ্ছে মৃত্যুর পর অনন্তকালের জন্য জান্নাতবাস এবং জাহান্নাম থেকে নিজেকে রক্ষা করা। কিন্তু অদভুদ ব্যাপার হচ্ছে বন্ধুগণ এসব ধর্মবিশ্বাসীদেরকে যদি জিজ্ঞেস করেন যে জান্নাত এবং জাহান্নাম এ কি রয়েছে সে সম্পর্কে, তবে তারা খুব একটা বিস্তারিত বলতে পারবেন না। ধর্মব্যবসায়ী মোল্লারাও ওয়াজ মাহফিলে খুব একটা বিস্তারিত বলেন না এ বিষয়ে এর কারণ হচ্ছে জান্নাত এবং জাহান্নামের ধারণা খুবই উদ্ভদ এবং হাস্যকর । ভুল বললাম? চলুন, প্রথমেই তাহলে পরীক্ষা করে নেয়া যাক আমার মুসলিম দর্শকবৃন্দ বলুন তো জান্নাতে কয়টি এবং কী কী নদী থাকে?
শুধু আপনি নন শতকরা ৯৯ ভাগও এই প্রশ্নের উত্তর জানেন না, এবার চলুন সুরা মোহাম্মদের ১৫ নম্বর আয়াত পড়ে নেয়া যাক পরহেজগাদের কে যে জান্নাতের ওয়াদা দেয়া হয়েছে তার অবস্থান নিম্নরূপ। তাতে আছে পানির নহর, নির্মল দুধের নহর যার স্বাদ অপরিবর্তনীয়। পানকারীদের জন্য সুস্বাদু সরাবের নহর এবং পরিশোধিত মধুর নহর থথায় তাদের জন্য আছে রকমারি ফলমূল তাদের পালনকর্তার ক্ষমা পরহেজগার রা কি তাদের সমান যারা জাহান্নামে অনন্তকাল থাকবে এবং যাদেরকে পান করতে দেয়া হবে ফুটন্ত পানি অতঃপর তা তাদের নাড়িভুঁড়ি ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দেবে।
নহর মানে হচ্ছে নদী, জান্নাতে চারটি নদী থাকবে। ১. পানির নদী, ২. নির্মল দুধের নদী, ৩.সুস্বাদু মদের নদী এবং ৪. পরিশোধিত মধুর নদী কিন্তু শুধু এই চারটি নদী কেন পানি,দুধ, মদ, মধু এই চারটি দ্রব্যই মোহাম্মদের যুগে মক্কায় চরম আকাঙ্খার বস্তুর ছিল। মরুভূমিতে পানির প্রয়োজন ছিল সব সময়ই তাই কল্পিত জান্নাতে একটা পানির নদী থাকাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অপর তিনটি নদীর যদি একটু লক্ষ্য করেন কি কষ্ট কল্পনা। দুধ আমরা পাই প্রাণীর কাছ থেকে এবং সেই দুধ
প্রাণীরা তাদের বাচ্চাদের জন্য উৎপাদন করে আমাদের জন্য কোন ভাবেই নয়। আমরা প্রাণীর দুধ চুরি করি বা ছিনতাই করি মাত্র। তৎকালীন পশুপালক সমাজে দুধের প্রচন্ড চাহিদা ছিল, কিন্তু পশুর থেকে যে দুধ আহরিত হতো তা সব সময় ছিল অতি অল্প আধুনিক যুগের আগেও এরকমই ছিল অর্থাৎ অবস্থা এরকমই ছিল অতিরিক্ত উৎপাদন করা সম্ভব ছিল না ছাগল চরানো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মোহাম্মদ এমন এক জান্নাত কল্পনা করালেন যেখানে গাভীর দুধ আসবে নদী দিয়ে। এমন হাস্যকর প্রতিশ্রুতি শুনে আত্মঘাতী হামলা নয় বরং হেসেই মরে যেতে ইচ্ছে করে। আচ্ছা, এই এক নদী দুধ মানুষের কি প্রয়োজনে
আসবে এর দরকার টা কেন? দৈনিক এক লিটার দুধ যেখানে একজন মানুষের জন্য যথেষ্ট তাই না বন্ধুরা এত দুধ দিয়ে জান্নাতি করবেন তাকে জান্নাতে নাকি যা ইচ্ছা তা পাওয়া যাবে তাহলে আলাদা হবেই লোভ দেখানোর মানে টা কি? একই প্রশ্ন মধু এবং মদের এর ক্ষেত্রে। দুধ, মদ এবং মদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত বিশেষণগুলো একটু খেয়াল করে দেখবেন। জান্নাতে নদী দিয়ে দুধ আসবে সেটা নির্মল হবে, ভেজাল থাকবে না এবং সে সবকিছু স্পষ্ট করে দিতে হবে বলে দিতে হবে। মদ সুস্বাদু হবে কিন্তু অন্যত্র বলা হচ্ছে এটা পান করলে নাকি কোনোভাবেই মাতাল হবেননা তাহলে এটা আবার মদ হয় কিভাবে এবং পরিশোধিত মধু, একটু ভেবে দেখুন সর্বশক্তিমান সবজান্তা আল্লাহপাক যিনি কুন বললেই সব হয়ে যায় তিনি মধু পরিশোধনাগার তৈরি করবেন জান্নাতে মানে এই কারখানা বসানোর প্রয়োজন টা কি? মধু তো আসবে মৌচাক থেকে
মৌমাছিরা মধু আহরণ করে তাদের ছানাপোনার জন্য মানুষের জন্য কোন ভাবেই নয়, মানুষ মৌমাছিদের তাড়িয়ে মেরে মধু সংগ্রহ করে এই মধু নদী দিয়ে আসবে কেন? একজন মানুষের জন্য কয়েক চামচ মধুই যেখানে যথেষ্ট সেখানে এই মধুর স্রোতে ভাসিয়ে দেয়ার মানেটা আসলে কি? এটা কি আজগুবি নয়? এবার কল্পনা করুন একটি নদী দিয়ে মধু প্রবাহিত হচ্ছে আবার অন্য নদী দিয়ে শুধু মদ আর মদ প্রবাহীত হচ্ছে, কল্পনার একটা সীমা থাকা উচিত ছিল না? একজন মানুষকে ভাল কাজের প্রতিদান হিসেবে পানি, দুধ এবং মধু দেয়া হচ্ছে এটিকি অসুস্থ এবং হাস্যকর চিন্তাভাবনা নয়? বর্তমানে কোন একজন সুস্থ বুদ্ধির মানুষকে এরকম প্রতিদান দেয়ার কথা বললে তিনি কি কোনোভাবেই গ্রহণ করবেন? দেড় হাজার বছর আগে এসব দ্রব্য এর অভাবে প্রবলভাবে ভোগা মরুভূমির মানুষগুলোকে ধোকা দেয়া হয়েছিল হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থে।
আমাদের মাথা খাটাতে হবে বিরাট প্রতিদান শুনলেই মাথা খারাপ করা চলবেনা, মানুষের অতিলোভে স্বাভাবিক চিন্তাভাবনার ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে এজন্য প্রতারকরা মোবাইল ফোনে ইমেইলে বিশাল অংকের লটারি বিজয়ের ভুয়া সংবাদ দিয়ে কিন্তু আমাদেরকে বোকা বানায় বিপুল সংখ্যক মানুষকে এভাবে বোকা বানিয়ে তাদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে নেয়। আমরা যদি আমাদের চারপাশে তাকাই, ইভ্যালি, ই – অরেঞ্জ দেখুনতো কিভাবে লোভ দেখিয়ে মানুষের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে, এহসান গ্রুপ, এইমওয়ে করপোরেশন, ডেস্টিনি, unipay2u নামক এমএলএম কোম্পানিগুলো দ্বিগুন লাভের লোভ দেখিয়ে সাধারণ
মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এবার ওই আয়াতটির পরের অংশের দিকে তাকানো যাক, বলা হচ্ছে জান্নাতে ফলমূল থাকবে আবার সাথে থাকবে ক্ষমা, এখানে জান্নাতিরা কি পাপ করতে থাকবে যাতে মহান ক্ষমতাশীল আল্লাহপাক তাদেরকে ক্ষমা করে দিতে পারেন । জানাতে তো কোনো অপরাধ থাকার কথা নয় তারপরও কেন এই ক্ষমার ব্যাপারটি এল, এটি হাস্যকর নয় কি?
আপনাদের আর একটি প্রশ্ন করতে চাই। জান্নাতে প্রথম খাবার কিভাবে বলুন তো?
উত্তর হচ্ছে জান্নাতে যে খাবারগুলো হবে সেগুলো আমরা বুখারী থেকে জানতে পারি এবং মুসলিম শরীফের কিছু হাদিস রয়েছে বুখারী 3329 নম্বর হাদিস এবং বুখারী 315 নম্বর হাদিসে বলা হচ্ছে জান্নাতে সর্বপ্রথম আতিথ্য হবে তিমি মাছের ও বলদের কলিজার অতিরিক্ত অংশ দ্বারা। পৃথিবীর মাটি হবে রুটি স্বরূপ খাদ্য। পৃথিবীতে বেড়ে ওঠো মোহাম্মদ জানতেনা যে পৃথিবীতে কতরকম সুস্বাদু খাবার আছে, তাই জান্নাতেও প্রাণী নিধন করে তাদের কলিজা এবং মাংস খাওয়ানোর লোভ
দেখিয়েছেন। জান্নাতে মানুষের দেহে সাইজ কতটুকু জানেন কি? একটি হাদিস বলছি বুখারি 6227 নাম্বার এবং মুসলিম 2841 নাম্বার হাদিস টি যদি আপনারা খেয়াল করেন সেখানে বলা হচ্ছে জান্নাতে প্রবেশকারী প্রথম দলটির চেহারা হবে পূর্ণিমা রাতের উজ্জ্বল চাঁদের আলোর মত এবং পরবর্তী দলগুলোর চেহারা হবে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্কের মতো। তাদের প্রস্রাব-পায়খানা এবং নাকের শ্লেষ্মা ও থুতু থাকবেনা চিরুনি হবে সোনার, ঘাম হবে মেশকের মতো সুগন্ধিযুক্ত, আগর কাঠের সুঘ্রাণযুক্ত ধোঁয়া বিতরণ করানো হবে চতুরদিকে।
স্ত্রীরা হবে আয়তলোচনা এবং সবার চরিত্র হবে এক এবং অভিন্ন আকৃতি হবে তাদের পিতা আদম এর মত ষাট হাত লম্বা। হ্যা, আপনার শরীরের সাইজ হবে ৬০ হাত লম্বা, আদম নাকি এই উচ্চতার ছিলেন। মোটামুটি চার তলা দালানের সমান, আপনার ও হুরদের হাত-পা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বিশেষ করে যৌনাঙ্গের একটু চিন্তা-ভাবনা করে নিন। এবার আসুন সোনা, এই সোনার চিড়ুনি দিয়ে আমরা জান্নাতে করবোটা কি? এত উদ্ভট রুচি আল্লাহ পাকের কেন? এরকম কল্পনাত আগের যুগের রাজারা করতেন। সেই বিলাসী জীবন যাপন, উদ্ভট সব রুচি এবং বলা হচ্ছে ঘামে থাকবে সুঘ্রাণ। যাই হোক সোনা বা স্বর্ণ নিয়ে কোড়ানে কয়েকটি আয়াত রয়েছে যেগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরছি সুরা কাহফের 31 নম্বর আয়াতে বলা
হচ্ছে এরাই তারা যাদের জন্য রয়েছে স্থায়ী জান্নাত সমূহ এবং যার নিচে প্রবাহিত হবে নদীসমূহ সেখানে তাদের অলংকৃত করা হবে স্বর্ণের চুরি দিয়ে এবং তারা পরিধান করবে মিহি ও পুরু সিল্কের সবুজ পোশাক। তারা সেখানে আসনে হেলান দিয়ে থাকবে এবং কি উত্তম প্রতিদান এবং কি সুন্দর বিশ্রামস্থল। জান্নাতে স্বর্ণের চুড়ি পড়ানো হবে আপনাকে পড়বেন তো? শুধু তাই নয় স্বর্ণের থালা নিয়ে আপনাকে প্রদক্ষিণ করা হবে এবং সূরা আয-যুখরুফ 71 নম্বর আয়াতটি আমরা যদি একটু দেখি সেখানে বলা হচ্ছে স্বর্ণের থালা ও পানিপাত্র নিয়ে তাদেরকে প্রদক্ষিণ করা হবে সেখানে রয়েছে সমস্ত কিছু যা অন্তর চায় এবং যা নয়ন তৃপ্ত হয়। সেখানে তোমরা স্থায়ী হবে । এইযে ধর্মান্ধ মুসলমানরা বিভিন্ন ধর্মের আজগুবি জিনিস নিয়ে ট্রল করেন মূর্তি পূজা কিভাবে হাস্যকর সেগুলো নিয়ে মোল্লা মুনসিরা সারাদিন ওয়াজ করেন কিন্তু আপনাদের ধর্মটা যে কি হাস্যকর শিশুসুলভ প্রলভন দেখানো হয়েছে সেটাকি একবারো কল্পনা করে দেখেছেন? কোরানে যেভাবে জান্নাতের লোভ
দেখানো হয়েছে তাতে বোঝা যায় যে ধর্মান্ধ মুসলমানদের মগজ বলতে কিছুই নেই দের হাজার বছর আগের একজন ধ্রুত লোক বর্তমান যুগে এসেও কিভাবে লোভ দেখিয়ে চলছে তাদেরকে এই কথিত সেই নবী যদি একবার বেঁচে উঠছেন তিনি তার উম্মতদের এই অবস্থা দেখে নিজেই অজ্ঞান হয়ে যেতেন বলে আমি মনে করি। সূরা ওয়াকিয়া নামের একটি হাস্যকর সূরায় জান্নাতের বেশ বড়সরো বিবরণ রয়েছে। চলুন আমরা একে একে সেই আয়াত গুলো পড়ি। আয়াত ১৫ তে বলা হয়েছে জান্নাতে তারা স্বর্ণ খচিত খাটে থাকবে। এটা নিয়ে একটু চিন্তা করুন তো কিছু সময় একটু কল্পনার জগতে হারিয়ে যান আপনাকে দেখতে কেমন লাগবে এত এত সোনা, সোনা অত লাগবে কি?
কেউ কেউ আবার সোনা বা এগুলোর জায়গা অনুবাদ করেছেন মণিমুক্তা দিয়ে অলংকৃত করা হবে, যেন শিশুদের গল্প বলা হচ্ছে। আয়াত ১৬ তে বলা হচ্ছে মুখোমুখি হয়ে হেলান দিয়ে থাকবে কেউ কারোর ঘাড়ের দিকে দেখবে না, ঘারের দিকে তাকালে সমস্যা কি? ফালতু আয়ত দিয়ে আমরা করবোটা কি? আয়াত ১৭ তে বলা হচ্ছে তাদের চারপাশে ঘুর ঘুর করবে (সেবায় নিয়োজিত) চির কিশোরেরা। মনে বেলমান। এবার বুঝলেনতো মাদ্রাশার হুজুররা কেন শিশুদেরকে বেলমান মনে করে এবং কেনই বা ধর্ষন বৈধ ভেবে শিশুদের উপর ঝাপিয়ে পরে। তাদের এই নির্দেশনা দিচ্ছে, পরোক্ষভাবে উস্কানি দিচ্ছে
তাদের লালায়িত করছে। আয়াত ১৮ তে বলা হয়েছে তারা এদের পার্শ্ব দিয়ে জান্নাতের অতিবাহিত ঝর্না থেকে মদের কাপ এবং পেয়ালা বাটি নিয়ে প্রদক্ষিণ করবে। অর্থাৎ জান্নাতিরা হবেন মধ্যযুগীয় এক এক জন বিলাসী রাজা। এবং আয়ত ১৯ এ বলা হচ্ছে তা পানে অর্থাদ মদ পানে, না তাদের মাথাব্যথা হবে এবং না তারা মাতাল হবে অর্থাৎ আগের যে মদ গুলো ছিল সেগুলো পানের পর মানুষের মাথা ব্যথা করত এটাই কিন্তু এই আয়াত থেকে স্পষ্ট হচ্ছে আধুনিক মদে যেটা হয়না। মদ নিয়ে একটু কথা ভলতে চাই, মদ খাবো অথচ মাতাল হবো না এই মদ খেয়ে আসলে হবেটা কি এই মদ আসলে কেন?
আয়াত ২০ তে বলা হচ্ছে এসব কিশোরেরা জান্নাতীদের সামনে তাদের পছন্দের ফলমুল নিয়ে ঘোরাফেরা করবে, মানেকি জান্নাতে গেলমান রেসটুরেন্ট! ২১ এ বলা হচ্ছে তারা তাদের পছন্দের পাখির মাংস নিয়ে তাদের সামনে ঘুরে বেড়াবে। পাখির মাংস! মানে জান্নাতে ফাজলামির একটা লিমিট থাকা উচিত না বলেন। আয়াত ২২ এ বলা হচ্ছে তাদের জন্য থাকবে ডাগর চক্ষু বিশিষ্ট হুর এবং এইবার আমরা পাইলাম হুরের বিবরণ, হুরের সংখ্যা কত হবে জানেন ? ৭২টা। বুখারিতে আছে হুরদের হারের যে পায়ের মজ্জা তাদের মাংশের মধ্য দিয়ে দিয়ে দেখা যাবে, অর্থাৎ হবে ট্রান্সপারেন্ট। আপনারা হয় ভাবছেন জান্নাতে কেন এত কিছু দেয়া হবে ? একটা প্রবাদ আছে না মনে মনে যখন খাব তখন জাম মিস্টিই খাব। আচ্ছা আমি মরার পরে যে মিথ্যা আশ্বাস এই মিথ্যা আশ্বাস যদি বিশাল হয় তবে তো কোন সমস্যা হওয়ার কথা নয় তাই না কোন অসুবিধা থাকার কথা নয় বরং আরো বেশি কাজে লাগানো যাবে এই মিথ্যা আশ্বাস এর মাধ্যমে।
এবার আসুন জান্নাতে কিকি ধরনের ফল থাকবে। সুরা ওয়াক্কিয়া আয়ত ২৯ এ বলা আছে, সেখানে আছে কাটাহীন কুল গাছ, কাদি ভরা কলাগাছ। মোহাম্মদ কিন্তু অতি সাবধান মানুষ, লোকে কুলের কাটা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার আগেই তিনি জানিয়ে দিয়েছেন সেগুলোতে কোন কাটা থাকবে না, ইন্টারেস্টিং না? এবং সুরা আর রহমানের ৬৮ নম্বর আয়াতে বলা হচ্ছে সেখানে রয়েছে ফলমূল, খেজুর ও ডালিম এবং সুরা নাবায়ে আঙ্গুর এর কথাও বলা হয়েছে। তাহলে দেখুন এই গোটা কয়েক ফলমুল এর কথা বলা হয়েছে মাত্র। মোহাম্মদ মরুভূমিতে থেকে কেবল এই গোটা কয়েক ফলমুল সম্পর্কেই জানতে পেরেছেন কোথায় আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আপেল, আনারস, পেয়ারা, কমলা আছে এসব কোন কিছুই তিনি জানতেন না, মোহাম্মদ যদি আমাদের দেশে ঘুরতে আসতেন, তবে শুধু ফলমুল নিয়েই একটি সুরা তিনি নাজিল করে ফেলতে পারতেন।
তিরমিজির 2525 নাম্বার হাদিস পড়ে মেজাজ আসলে ডাউন হয়ে গেছে। সেখানে বলা হচ্ছে জান্নাতের গাছের কান্ড হবে স্বর্ণের, এসব গাছের আবার ধরবে সুমিষ্ট ফল মুল আমি ভাবছি , ডেনডি বা এলএসডি খেয়ে হেলুসিনেট করা ছাড়া এগুলো বিশ্বাস কোনভাবেই করা যাবে না জান্নাতে এত এত সোনা দিয়ে আমরা কোরবোটা কি? ইসলামি নির্বুদ্ধিতা নিয়ে কথা বলতে গেলে ভিডিও অনেক বড় হয়ে যাবে ইতিমধ্যে অনেক লম্বা হয়ে গেছে। পরিশেষে সংক্ষেপে দুটো কথা আমি আপনাদের বলতে চাই। আমরা খাদ্য গ্রহণ করি পুষ্টি পাওয়ার জন্য যে খাদ্যগুলো আমাদের দেহের জন্য বেশি পুষ্টিকর এবং দেহের জন্য প্রয়োজন বলে দেহ মনে করে থাকে, সেগুলোই আমাদের কাছে তত বেশী মজাদার বলে দেহ সিগনাল দেয়। তবে অন্য ক্ষেত্রেও আছে দেহ অনেক ক্ষেত্রে ভুলও করে থাকে। খুব বেশি দরকারি খাদ্যকে অনেক সময়ে সুস্বাদু বলে মনে করেনা দেহ। ব্যাপারটা হাজার হাজার বছরের বিবর্তনের সাথে আসলে সম্পর্কযুক্ত এখন প্রশ্ন হচ্ছে জান্নাতে খাবারের
প্রয়োজন টা কি এবং এটা কেন সুস্বাদু হিসেবে আমাদের মেনে নিতে হবে। যৌনতার ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার বাচ্চা জন্মদানের সাথে এর সম্পর্ক রয়েছে বলেই এটা পৃথিবীতে আমাদের কাছে অনেক বেশি উপভোগ্য যেটা অন্যান্ন পশুর ক্ষেত্রে নয়। তারা সন্তান জন্ম দেওয়ার জন্য বা জেনারেশন বিল্ড আপ করার জন্য এটা করে থাকে। তো জানাতেই এই যৌনতা উপভোগ্য হবে আমরা আমাদের বাস্তব জগতে কথিত মহান সৃষ্টিকর্তার কার্যকলাপের নানান নিদর্শন আমরা দেখতে পাই অসংখ্য শিশু পুষ্টির অভাবে ভুগছে এবং মারা যাচ্ছে জাতিসংঘের হিসাব মতে প্রতিদিন খাদ্যের অভাব জনিত কারণে দশ হাজার শিশুসহ ২৫ হাজার মানুষ মারা যায়। পৃথিবীতে ৮১ কোটির বেশি মানুষ ঠিকঠাকমতো খাবার পাচ্ছেন না, ৯ জনের মধ্যে একজন মানুষ ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমাতে যান। যিনি সর্বোত্তম রিযিকদাতা বলে নিজেকে প্রকাশ করেছেন কোরআনে লাফালাফি করেছেন বহুবার, এসব নিয়ে অনেক ফাপোরবাজি করেছেন শুধুমাত্র নিস্পাপ শিশুদেরকেই বেঁচে থাকার খাদ্য তিনি দিতে পারছেন না অসংখ্য শিশু সামান্য দুধটুকু পাচ্ছেনা। কোলে শিশু থাকা অবস্থায় মায়ের মৃত্যু হচ্ছে
আমরা চোখের সামনে এসব ঘটনা দেখতে পাচ্ছি অথচ জান্নাতে নাকি তিনি আমাদের দুধ, মদ, মধুর নদী দিয়ে একেবারে ভাসিয়ে দেবেন। যিনি আমাদের চোখের সামনেই ব্যর্থ তাকে কেন অসীম ক্ষমতা সম্পন্ন হিসেবে মেনে নিতে হবে। আমরাত মরুর ডাকাতের মত এত কিছু উপভোগ করতে চাইছি না। তাই আমাদেরকে এসব জান্নাত ফান্নাতের লোভ দেখিয়ে কোন লাভ নেই এবং আপনারা যারা ধর্মান্ধ মুসলমান তারা আর মানুষ হইয়েননা আপনাদের মানুষ হবার কোন দরকার নেই তাই না। সামনে রাখা আপনাদের জানাতের যে মুলা রাখা ঝুলানো আছে বা গাজর আছে সেই গাজর রাখা গাধার মতই আপনার জীবন যাপন করতে থাকেন তবে মনে রাখবেন এটা মানুষের জীবন নয়। যে মানুষ বিবেক কাজে লাগাবে যে মানুষের বিবেক থাকবে সে জান্নাতে গাজরের লোভে গর্দভের মতো জীবন যাপন করবে না, ধন্যবাদ।