আসল কাবা বনাম নকল কাবা
বিশ্বের মুসলমানেরা আসল কা’বা চেনে না। আরবলীগ মাকামে ইবরাহীম (ইবরহীমের সৌধ) বা আসল কা’বা চিনলেও ব্যবসার স্বার্থে তা গোপন রেখেছে। আপনারা ‘Mosque of Ibrahim in Hebron’ Search করুন। আসল কা’বা (মাকামে ইবরাহীম) পেয়ে যাবেন।
১. ইবরাহীম ও ইসমাঈল নির্মিত গৃহ:
স্মরণ কর, যখন ইবরাহীম ও ইসমাঈল (কা‘বা) গৃহের প্রাচীর তুলচ্ছিল তখন তারা বলেছিল, ‘আমাদের রব! আমাদের এই কাজ গ্রহণ করুন, নিশ্চয়ই আপনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞাতা (২:১২৭)। [অনুবাদে কা‘বাগৃহ লেখা হয়েছে। এটাই পৃথিবীর প্রচীন গৃহ। ২:১২৫ ও ২২:২৬ আল্লাহ উক্ত গৃহকে আমার (আল্লাহর) গৃহ বলেছেন।]
২. (কা’বা)গৃহ, মাকামে ইবরাহীম এবং আমার (আল্লাহর) গৃহ একই:
এবং সেই সময়কে স্মরণ কর, যখন আমি (কা‘বা) গৃহকে মানব জাতির মিলনকেন্দ্র ও নিরাপত্তাস্থল করেছিলাম এবং বলেছিলাম, ‘তোমরা মাকামে ইবরাহীমকে সালাতের (বিধান প্রতিষ্ঠার) স্থানরূপে গ্রহণ কর।’ এবং ইবরাহীম ও ইসমাঈলকে তাওয়াফকারী, ই‘তিকাফকারী, বিনয়-নতদের জন্য আমার গৃহকে পবিত্র রাখিতে আদেশ দিয়েছিলাম (২:১২৫)। [মাকামে ইবরাহীম অর্থাৎ ইবরাহীমের সৌধ (২৬:৫৮)। অনুবাদে কা‘বাগৃহ লেখা হয়েছে। উক্ত গৃহকে মাকামে ইবরাহীম বলা হয়েছে। ‘আমার গৃহ’ বলতে বায়তুল্লাহ (আল্লাহর গৃহ) বোঝায়]
৩. মসজিদুল হারাম ও আমার (আল্লাহর) গৃহ একই:
‘যারা অবিশ্বাস করে এবং মানুষকে নিবৃত্ত করে আল্লাহর পথ হতে ও মসজিদুল হারাম হতে, যা আমি করেছি স্থানীয় ও বহিরাগত সকলের জন্য সমান, আর যে ইচ্ছা করে সীমালংঘন করে তাতে পাপ কার্যের, তাকে আমি আস্বাদন করাব মর্মন্তুদ শাস্তির।
এবং স্মরণ কর, যখন আমি ইবরাহীমের জন্য নির্ধারণ করে দিয়েছিলাম সেই গৃহের স্থান, তখন বলেছিলাম, ‘আমার সঙ্গে কোন শরীক স্থির করো না এবং আমার গৃহকে পবিত্র রেখো তাদের জন্য যারা তাওয়াফ করে, দাঁড়ায় এবং বিনয়-নত হয় (২২:২৫-২৬)।[উক্ত আয়াতে ‘আমার গৃহকে’ অর্থাৎ বায়তুল্লাহকে বা আল্লাহর ঘরকে বোঝানো হয়েছে।]
৪. সর্বপ্রথম গৃহ, মাকামে ইবরাহীম, যার মধ্যে হজ্জ (বিধান সভা) করা হয়:
বল, আল্লাহ সত্য বলেছেন। সুতরাং তোমরা একনিষ্ঠ ইবরাহীমের ধর্মাদর্শ অনুসরণ কর, সে মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নয়।’ নিশ্চয়ই মানবজাতির জন্য সর্বপ্রথম যে গৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা তো বাক্কায়, তা বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী। তাতে অনেক সুস্পষ্ট নিদর্শন আছে, মাকামে ইবরাহীম। আর যে কেউ সেখানে প্রবেশ করে সে নিরাপদ। মানুষের মধ্যে যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে, আল্লাহর উদ্দেশ্যে ঐ গৃহে হজ্জ করা তার অবশ্য কর্তব্য এবং কেউ প্রত্যাখ্যান করলে সে জেনে রাখুক, নিশ্চয়ই আল্লাহ বিশ্বজগতের মুখামেক্ষী নন। বল, ‘হে কিতাবীগণ! তোমরা আল্লাহর আয়াতকে কেন প্রত্যাখ্যান কর? তোমরা যা কর আল্লাহ তার সাক্ষী (৩:৯৫-৯৮)। [হজ্জের (বিধান সভার) স্থান মাকামে ইবরাহীমের (ইবরাহীমের সৌধের) মধ্যে। ইবরাহীম ও ইসমাঈলের নির্মিত গৃহই বরকতময় ও বিশ্বজগতের দিশারী পৃথিবীর প্রাচীন গৃহ যাকে আল্লাহ কা‘বাতাল বায়ত (কা’বা গৃহ) বলেছেন]
৫. কা‘বাগৃহ:
কা‘বাগৃহ, পবিত্র মাস, কুরবানির জন্য প্রেরিত পশু ও গলায় মালা পরিহিত পশুকে আল্লাহ মানুষের কল্যাণের জন্য নির্ধারণ করিয়াছেন (৫:৯৭)।[ উক্ত আয়াতে আল্লাহ কা‘বাতাল বায়ত (কা’বা গৃহ) বলেছেন]
৬. কা‘বাগৃহ এবং মসজিদুল হারাম একই:
হে মু’মিনগণ! আল্লাহর নিদর্শনের, পবিত্র মাসের, কুরবানীর জন্য (কা‘বায়) প্রেরিত পশুর, গলায় পরান চিহ্নবিশিষ্ট পশুর এবং নিজ রবের অনুগ্রহ ও সন্তোষ লাভের আশায় (পবিত্র) গৃহ অভিমুখে যাত্রীদের পবিত্রতার অবমাননা করবে না। যখন তোমরা ইহরামমুক্ত হবে তখন শিকার করতে পার। তোমাদেরকে মসজিদুল হারামে প্রবেশে বাধা দেওয়ার কারণে কোন সম্প্রদায়ের প্রতি বিদ্বেষ তোমাদেরকে যেন কখনই সীমালংঘনে প্ররোচিত না করে। সৎকর্ম ও তাক্ওয়ায় তোমরা পরস্পর সহযোগিতা করবে এবং পাপ ও সীমালংঘনে একে অন্যের সাহায্য করবে না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর (৫:২)। [উক্ত আয়াতে আল্লাহ কা’বাগৃহকে ‘মসজিদুল হারাম’ বলেছেন। মসজিদুল হারামের মধ্যে হবে হজ (বিধান সভা)]
৭. হজ্জ হবে মসজিদুল-হারামের মধ্যে:
নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর রাসূলকে স্বপ্নটি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করে দেখায়েছেন, আল্লাহর ইচ্ছায় তোমরা অবশ্যই মসজিদুল-হারামে প্রবেশ করবে নিরাপদে- তোমাদের কেউ কেউ মস্তক মুণ্ডিত করবে আর কেউ কেউ কেশ কর্তন করবে। তোমাদের কোন ভয় থাকবে না। আল্লাহ জানেন তোমরা যা জান না। এ ছাড়াও তিনি তোমাদেরকে দিয়াছেন এক সদ্য বিজয় (৪৮:২৭)। [মাকামে ইবরাহীম, কা’বা গৃহ এবং মসজিদুল-হারামকে একই স্থান বলা হয়েছে।]
৮. মসজিদুল হারাম ও বায়তুল আতিক একই:
তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ্জ ও উমরা পূর্ণ কর, কিন্তু তোমরা যদি বাধাপ্রাপ্ত হও তবে সহজলভ্য কুরবানী করো। যে পর্যন্ত কুরবানীর পশু তার স্থানে না পৌঁছে তোমরা মস্তক মুণ্ডন করো না। তোমাদের মধ্যে যদি কেউ পীড়িত হয় কিংবা মাথায় ক্লেশ থাকে তবে সিয়াম কিংবা সদকা অথবা কুরবানির দ্বারা তার ফিদয়া দিবে। যখন তোমরা নিরাপদ হবে তখন তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি হজ্জের প্রাক্কালে উমরা দ্বারা লাভবান হতে চায় সে সহজলভ্য কুরবানী করবে। … … … এ তাদের জন্য যারা মসজিদুল হারামের বাসিন্দা নয়।.. (২:১৯৬)। [উক্ত আয়াতে হজ্জ হবে মসজিদুল হারামে এবং উমরা বা কুরবানি হবে বায়তিল আতিকের (প্রাচীন গৃহের) নিকটে।]
৯. বায়তুল আতিক:
এ সমস্ত আন‘আমে তোমাদের জন্য নানাবিধ উপকার রয়েছে এক নির্দিষ্ট কালের জন্য; অতঃপর তাদের কুরবানির স্থান বায়তিল আতিকের (প্রাচীন গৃহের) নিকট। আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের জন্য ইবাদত-পদ্ধতির নিয়ম করে দিয়েছি; তিনি তাদেরকে রিযকরূপে যে সকল চতুষ্পদ জন্তু দিয়েছেন, সেগুলোর উপর যেন তারা আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। তোমাদের ইলাহ্ এক ইলাহ্, সুতরাং তারই নিকট আত্মসমর্পণ কর এবং সুসংবাদ দাও বিনীতগণকে (২২:৩৩-৩৪)। [উক্ত আয়াতে আল্লাহ গৃহকে ‘বায়তিল আতিক (প্রাচীন গৃহ) বলেছেন।]
১০. হজ্জের সময় তাওয়াফ হবে বায়তিল আতিককে:
এবং মানুষের নিকট হজ্জ-এর ঘোষণা করে দাও, তারা তোমার নিকট আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রের পিঠে, এরা আসবে দূর-দূরান্তর পথ অতিক্রম করে, যাতে তারা তাদের কল্যাণময় স্থানগুলোতে উপস্থিত হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু হতে যা রিযিক হিসেবে দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে
আল্লাহর নাম উচ্চারণ করতে পারে। অতঃপর তোমরা তা হতে আহার কর এবং দুস্থ, অভাবগ্রস্তকে আহার করাও।
অতঃপর তারা যেন তাদের অপরিচ্ছন্নতা দূর করে এবং তাদের মানত পূর্ণ করে এবং তাওয়াফ করে বায়তিল আতিকের [প্রাচীন গৃহের] (২২:২৭-২৯)। [উক্ত আয়াতে আল্লাহ হজ্জের স্থান মাকামে ইবরহীমকে বায়তিল আতিক (প্রাচীন গৃহ) বলেছেন। হজ্জে যাবে বিশ্বের বোধসম্পন্ন ব্যক্তিরা (২:১৯৭) যাদেরকে ডাকা হয়; অন্য কেউ নয়। যেমন- সংসদ ভবনে যাদেরকে ডাকা হয় তারাই যাবে। মিলনায়তন, অডিটোরিয়াম, সংসদভবন। একই ধরনের স্থান কা’বা, বায়তিল আতিক বা মসজিদুল হারাম।]
১১. কিতাবিরা বায়ত (গৃহ) চেনে:
নিশ্চয়ই সাফা ও মারওয়া আল্লাহর নিদর্শনসমূহের অন্তর্ভুক্ত। সুতরাং যে কেউ (কা‘বা) গৃহে হজ্জ কিংবা ‘উমরা সম্পন্ন করে এই দুইটির মধ্যে সা‘ঈ করলে তার কোন পাপ নেই আর কেউ স্বতঃস্ফুর্তভাবে সৎকাজ করলে আল্লাহ তো পুরস্কারদাতা, সর্বজ্ঞ। নিশ্চয়ই আমি যেসব স্পষ্ট নিদর্শন ও হিদায়াত অবতীর্ণ করেছি মানুষের জন্য কিতাবে তা স্পষ্টভাবে ব্যক্ত করার পরও যারা তা গোপন রাখে আল্লাহ তাদেরকে অভিশাপ দেন এবং অভিশাপকারীরাও তাদেরকে অভিশাপ দেয়। কিন্তু যারা তওবা করে এবং নিজেদেরকে সংশোধন করে আর সত্যকে সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত করে, এরাই তারা যাদের তওবা আমি কবূল করি, আমি অতিশয় তওবা গ্রহণকারী, পরম দয়ালু (২:১৫৮-১৬০)।
১২. আল্লাহর মসজিদ ও মসজিদুল হারাম একই:
তোমরা কি মনে কর যে, তোমাদেরকে এমনি ছেড়ে দেওয়া হবে যখন পর্যন্ত আল্লাহ না প্রকাশ করেন তোমাদের মধ্যে কারা মুজাহিদ এবং কারা আল্লাহ, তাঁর রাসূল ও মু’মিনগণ ব্যতীত অন্য কাউকেও অন্তরঙ্গ বন্ধুরূপে গ্রহণ করে নি? তোমরা যা কর, সে সম্বন্ধে আল্লাহ সবিশেষ অবহিত।
মুশরিকরা যখন নিজেরাই নিজেদের কুফরী স্বীকার করে তখন তারা আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে- এমন হতে পারে না। তারা এমন, যাদের সমস্তকর্ম ব্যর্থ হয়েছে এবং তারা অগ্নিতেই স্থায়িভাবে অবস্থান করবে।
তারাই তো আল্লাহর মসজিদের রক্ষণাবেক্ষণ করবে, যারা ঈমান আনে আল্লাহ ও আখিরাত দিবসে এবং সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কাউকেও ভয় করে না। অতএব আশা করা যায়, তারা হবে সৎপথপ্রাপ্তদের অন্তর্ভুক্ত।
হাজীদের জন্য পানি সরবরাহ এবং মসজিদিল হারামের রক্ষণাবেক্ষণ করাকে তোমরা কি তাদের পুণ্যের সমজ্ঞান কর, যারা আল্লাহ ও আখিরাতে ঈমান আনে এবং আল্লাহর পথে জিহাদ করে? আল্লাহর নিকট তারা সমতুল্য নয়। আল্লাহ জালিম সম্প্রদায়কে সৎপথ প্রদর্শন করেন না। যারা ঈমান আনে, হিজরত করে এবং নিজেদের সম্পদ ও নিজেদের জীবন দ্বারা আল্লাহর পথে জিহাদ করে তারাই আল্লাহর নিকট মর্যাদায় শ্রেষ্ঠ, আর তারাই সফলকাম।
তাদের রব তাদেরকে সুসংবাদ দিচ্ছেন স্বীয় দয়া ও সন্তোষের এবং জান্নাতের, যেখানে আছে তাদের জন্য স্থায়ী সুখ-শান্তি। সেথায় তারা চিরস্থায়ী হবে। নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট আছে মহাপুরস্কার (৯:১৬-২২)।
১৩. মসজিদুল হারাম ও (কা’বা) গৃহ একই:
এবং তাদের কী বা বলার আছে যে, আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন না, যখন তারা লোকদেরকে মসজিদিল হারাম হতে নিবৃত্ত করে? তারা এর আঊলিয়া (তত্ত্বাবধায়ক) নয়, শুধু মুত্তাকীগণই তার আঊলিয়া (তত্ত্বাবধায়ক); কিন্তু তাদের অধিকাংশ এ জানে না। (কা‘বা) গৃহের নিকট শুধু শিস ও করতালি দেওয়াই তাদের সালাত, সুতরাং কুফরীর জন্য তোমরা শাস্তি ভোগ কর (৮:৩৪-৩৫)।
মুত্তাকী কারা সেই সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, ‘পূর্ব এবং পশ্চিম দিকে তোমাদের মুখ ফিরানোতে কোন পুণ্য নেই; কিন্তু পুণ্য আছে কেউ আল্লাহ, আখিরাত দিবস, ফিরিশ্তাগণ, সমস্ত কিতাব এবং নবিগণে ঈমান আনয়ন করলে এবং (সম্পদের প্রতি ভালোবাসা সত্ত্বেও) আত্মীয়-স্বজন, ইয়াতিম, মিসকিন, পর্যটক, সাহায্যপ্রার্থিগণকে এবং দাস-মুক্তির জন্য অর্থ দান করলে, সালাত (বিধান) প্রতিষ্ঠিত করলে ও যাকাত প্রদান করলে এবং প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা পূর্ণ করলে, অর্থ-সংকটে দুঃখ-ক্লেশে ও সংগ্রাম-সংকটে ধৈর্য ধারণ করলে। এরাই তারা যারা সত্যপরায়ণ এবং এরাই মুত্তাকী (২:১৭৭)। [মসজিদুল হারামের আঊলিয়া (তত্ত্বাবধায়ক) আল্লাহর আয়াত অনুসারে দেখা যায় না।]
১৪. হারামের চতুষ্পার্শ্বে হামলা চলছে, মিথ্যা কা’বায় বিশ্বাসী:
তারা কি দেখে না আমি ‘হারাম’কে নিরাপদ স্থান করেছি, অথচ এর চতুষ্পার্শ্বে যেসব মানুষ আছে, তাদের উপর হামলা করা হয়, তবে কি তারা অসত্যেই বিশ্বাস করবে এবং আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?
যে ব্যক্তি আল্লাহ সম্বন্ধে মিথ্যা রচনা করে অথবা তাঁর নিকট হতে আগত সত্যকে অস্বীকার করে তার অপেক্ষা অধিক জালিম আর কে? জাহান্নামই কি কাফিরদের আবাস নয় (২৯:৬৭-৬৮)? [হেবরনে অবস্থিত মাকামে ইবরাহীমে মুসলিমরা প্রবেশ করতে পারে না। এর চতুষ্পার্শ্বে যুগ যুগ ধরে যুদ্ধ চলছে।]
১৫. মানবজমিন ডেস্ক (১২ ঘন্টা আগে) নভেম্বর ৩০, ২০২১, মঙ্গলবার, ৩:২৯ অপরাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: ৩:৫৮ অপরাহ্ন ইসরাইলে অবস্থিত ইব্রাহিম (আ.) মসজিদে রোববার প্রবেশ করেছিলেন ইসরাইলের প্রেসিডেন্ট আইজাক জারজোগ। তার এমন সফরের কড়া নিন্দা জানিয়েছে আরব লীগ। … … … … ২০১৭ সালে ইউনেস্কো একে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট বা বিশ্ব ঐতিহ্যের নির্দশন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। হেব্রনে অবস্থিত ইব্রাহিমি মসজিদকে নবী ইব্রাহিম (আ.), ইসাহাক (আ.), ও জ্যাকবের সমাধিক্ষেত্র হিসেবে মনে করা হয়। এ জন্য এই স্থানটি মুসলিম ও ইহুদিদের কাছে উপাসনার জায়গা।
আল্লাহর আয়াত (৩:৯৮-১০১) অনুসারে আরবলীগ আসল কা’বাকে অস্বীকার করেছে।