হিন্দুরা করে মূর্তি পূজা আর মুসলিমরা কাবার সামনে কিসের পূজা করে
আমরা স্বাভাবিক ভাবেই দেখে আসছি মুসলিম রা হিন্দুদের ঘৃণা করে এবং তাদের সাথে তাদের একটার পর একটা বৈষম্য লেগেই থাকে। মুসলিম ধর্মাম্বলী রা হিন্দু দের ঘৃণা করার একটাই কারণ তাদের মতে তারা প্রাণ হীন মূর্তির পূজা করে। যারা নিজেদের রক্ষা নিজেরাই করতে পারে না তারা কিভাবে সমগ্র মানব জাতির রক্ষা করবে। এই কারণেই আদিম কাল থেকে মুসলিম হিন্দু সংঘর্ষ। তারা বিভিন্ন ভাবে পূর্ব যুগ থেকেই মূর্তিপূজার বিপক্ষে। মুসলিমদের নবী হজরত ইব্রাহিম দেবী মূর্তি
ভেঙে গুড়িয়ে দিয়েছিলো।ইব্রাহীম কীভাবে মূর্তিপুজারীদের মূর্তি ভেঙ্গে তা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করতেন, অন্য ধর্মের মানুষকে অপমান অপদস্থ করতেন, অন্য ধর্মের অবমাননা করতেন, সেগুলো কোরআন হাদিসের নানা জায়গায় পাওয়া যায়। সেই সাথে এটিও বললো, মূর্তিগুলোর ক্ষমতা থাকলে নিজেদের রক্ষা করলো না কেন? যেসব মূর্তির নিজেদের রক্ষা করার ক্ষমতা নেই, তারা কীভাবে মানুষকে রক্ষা করবে? কথাগুলো যৌক্তিক হলেও, ধর্ম অবমাননা নিঃসন্দেহে। একই যুক্তি
কিন্তু মসজিদ ভাঙ্গা কিংবা কোরআন পোড়াবার ক্ষেত্রেও প্রয়োগ করা যায়।কিন্তু হিন্দুরা সেই যুক্তির দেখায় না.এইভাবে তারা হিন্দু ধর্মের প্রতি অসম্মান করছে আদিম কাল থেকেই।তারা সব সময় বলে দেব দেবীদের এত ক্ষমতা থাকলে তারা নিজেরা নিজেদের কেন রক্ষা করে না. সেই সময়ে একবারও তাদের মনে হয় না , বাবরি মসজিদ ভাঙ্গার সময় আল্লাহও কিন্তু ছিল
নিশ্চুপ! তিনি ও কিন্তু তার মসজিদ রক্ষা করতে পারেন নি.যখন সারা পৃথিবীতে শত শত মসজিদ ধ্বংস করা হয় তখন আল্লাহ কে খুঁজেও পাওয়া যায় না.আবার যখন কাবা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়া হয় তখন ও আল্লাহ তার কাবা শরীফ রক্ষা করতে পারেন নি.সেই সময়ে এইসব একবার ও মাথায় আসে না শুধু আপনাদের মনে হয় হিন্দুদের দেব দেবীর ক্ষমতা থাকলে তো
মূর্তিগুলো রক্ষা করতো। এরমানে কি এই যে আপনাদের খোদার ও কোনো ক্ষমতা নেই কারণ সেও আপনাদের কাবা রক্ষা করতে পারে নি. এখন মূল কথা এই দাঁড়ায় যে মুসলিম রা হিন্দু দেড় ঘৃণা করে কারণ তারা মূর্তি পূজারী।তাদের হিন্দু দেড় ঘৃণা করার আগে তাহলে নিজেদের ঘৃণা করতে হবে আমার মোতে তারাও মূর্তি পূজারী।তারা যদি পূজা না করে তাহলে তারা
কাবায় গিয়ে কিসের পূজা করে ?তাদের কাজ কর্ম কি মূর্তি পূজার চেয়ে কোনো অংশে কম ? তারা কাবা শরীফ কে কেন্দ্র করে একাধিকবার ঘরে…এছাড়া তারা কালোপাথর বা কোষ্ঠী পাথর নামের একটি পাথর কে চুমু খায়. তারা পাথরেও চুমু খায় এগুলো কি মূর্তি পূজার অন্তর্ভুক্ত নয় ? শয়তানকে উদ্দেশ করে হজযাত্রীরা তিনটি স্থানে কঙ্কর নিক্ষেপ করেন। তারা পাথর
নিক্ষেপ করে কেন জানেন।. আর কোষ্ঠী পাথর ই চুমু খায় কেন। কখনো ভেবে দেখেছেন। কারণ তাদের কাছেও পাথর পবিত্র জিনিস।যেখানে মুসলিম রাই শিকার করে পাথর পবিত্র জিনিস তাহলে তারাই কেন হিন্দুদের পাথর দ্বারা তৈরী মূর্তি অবমাননা করে। তারা মূর্তি পূজা করলে পাপ নেই। হিন্দুরা মূর্তি পূজা করলেই ঘৃণার যোগ্য ?ইসলাম বলে কেউ যদিমোহাম্মদ কে নিয়ে সমালোচনা করে তাহলে বিনা বিচারে তাকে জবাই করা পুণ্যের কাজ। এর মানে এই যে মুসলিমরা ঠিকই অন্য ধর্মের অবমাননা করতে পারবে, কিন্তু অন্য কেউ ইসলামের বিষয়ে কিছুই বলতে পারবে না.
ইসলাম ধর্মে মূর্তি পূজা হারাম এটাকে তারা শিরক বলে থাকে আর শিরক কারীর কখনো ক্ষমা হয় না তাই তারা মূর্তি পূজা বা পাথরের পূজা হারাম বা বলে থাকেন এখানে কথা হচ্চে তাহলে মুসলিম রা কি কখনো পূজা বা শিরক করে না হিন্দুরা মাটির মূর্তিকে ভগবান এর একটি রূপ বলে মনে করেন বা এই মূর্তির সামনে যান এবং তার দিকে সেজদা করেন এখন আসল কোথায় আসেন মুসলিম রা কাবাকে বলে আল্লারহর ঘর তারা এই গড় কে সেজদা করেন তাহলে একবার ভাবুন হিন্দু আর মুসলিম এর মধ্যে কি কোনো পার্থক্য খুঁজে পেলেন কাবার জান্নাতি পাথর কে একটি বার ধরার জন্য পাগল হয়ে যায়