ধর্ম যখন শ্বাসরুদ্ধকর হয়ে দাড়ায়
বর্তমানের প্রচলিত ইসলাম কেউ হাদিস অনুসারে ঠিক মতন পালন করতে চাইলে মসলা-মাসায়েল পালন করতে করতে খাওয়া দেওয়ারও সময় থাকবে না, জীবন আর দৈনন্দিন কাজ করা তো দূরের কথা। বিজ্ঞানী, গবেষক, সাধক, চিকিৎসক হওয়া অসম্ভব। গুহায় বসবাস করতে হবে, আর না হয় মরুভূমিতে উট চড়াতে হবে। ওযীফার ঠ্যালায় কোন কিছু গভীরভাবে
ভাবার সময়ই থাকবে না। বারোশো শতাব্দীর পর হাদিসগুলো ছড়িয়েছে আর তার পর থেকেই মুসলিমদের ভরাডুবি শুরু হয়েছে। বারোশো শতাব্দীর আগে সহি বোখারীও পাবেন না আর ইসলামের স্বর্ণ যুগের চিন্তকদেরও পাবেন না। আন্দালুসিয়ার মুসলিম গবেষকরা বাগদাদ ভিত্তিক মুসলিম গবেষকদের সাথে ইজমা ও কিয়াস সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে একমত ছিলেন না
(যেমন ইব্ন হজম)। তারা ছিলেন অনেকটা উদারপন্থী – যারা এরিস্টটলের লিখা পর্যন্ত সংগ্রহ করতেন (যেমন ইব্ন রুশ্দ) তাই তারা আরও কিছু দিন এই মুক্ত চিন্তা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। কিন্তু স্পেন থেকে বিতাড়িত হবার পর আরব ও পারস্য ভিত্তিক ইসলাম হাদীসী বেড়াজালে আটকে যায়। এর পর ব্রিটিশরা উপমহাদেশে এসে আলিয়া মাদ্রাসা চালু করে। ওরা যখন
ওদের খ্রিস্টান পাদ্রীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করছিল, ঠিক তখনই মুসলিমদের মক্তব ব্যবস্থা ভেঙে এই হাদিস ভিত্তিক মাদ্রাসা চালু করে। আবার এই আলিয়া মাদ্রাসাকে খ্রিস্টান ইহুদি চক্রান্ত বলে দেওবন্ধ নিয়ে আসে পশ্চিমা সাধারণ শিক্ষা বিরোধী আরও কট্টর মাদ্রাসা ব্যবস্থা যা তৈরী করে আসছে ক্ষমতার জন্য যোদ্ধা ও প্রগতি বিরোধী মানুষ। এতে কোরআন
পরিনিত হলো শুধু নামাজে সঠিক উচ্চারণে মন্ত্র পাঠের বিষয় আর হাদিস হয়ে গেলো ধর্মীয় ব্যাবসা। ধ্বংস হলো মুসলিমদের প্রগতি।