ধর্ম কিভাবে মানুষকে ঠকায়
আজ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ ধর্মীয় অজ্ঞতার সাগরে ডুবে আছে.সোয়াব পাওয়ার আশায় লক্ষ লক্ষ মানুষ কোটি কোটি টাকা খরচ করছে করছে পীর আউলিয়ার মাজারে। তারা এই টাকা কেন ইনভেস্ট করে জানেন? তারা এই টাকা ইনভেস্ট করে শুধু মাত্র তাদের ইচ্ছা পূরণ এবং দোয়া পাওয়ার আশায় অথচ আমাদের মতোই সাধারণ মানুষ কিন্তু বিভিন্ন ভন্ড প্রতারণার
মাদ্ধমে তারা নিজেদের কে মহান কোনো ওস্সরিক শক্তির অধিকারী বলে দাবি করে..কিন্তু এই পৃথিবীতে কোথাও আজ প্রজন্ত কেউ দেখেনি যে পরিশ্রম বা চেষ্টা ছাড়া কারো ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। তারা যদি এটি ঐশ্বরিক শক্তির অধিকারী হয়ে থাকে তাহলে তারা কেন টাকা নিয়ে ভণ্ডামি করে.ধর্মএর দোহাই দিয়ে তারা মানুষ কে অন্ধের অনুসারী করে তুলছে।যার
কারণে মানুষ আধুনিক সমাজের থেকে তো পিছিয়ে পড়ছেই সাথে সাথে তাদের তারা যা করতে বলছে তাই করছে।তাদের মাজারে গিয়ে অজ্ঞ লক্ষ লক্ষ নারী নিজের অজান্তেই পীর আওলিয়াদের সেবার দোহাই দিয়ে ধর্ষিত হচ্ছে শত শত বার। সেই ধর্ষণ এর কোনো বিচার নেই কারণ তারা দাড়ি তুপি পাগড়ি এবং পাঞ্জাবি পড়া পীর তারা কখনো কোনো ভুল করতেই পারে
না ,তারা যা বলবে যা করবে সব ই সঠিক।ধর্মের নামে নারীদের উপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে অল্প বয়সে বিয়ের বোঝা। তাদের মতামত নেওয়ার ও সুযোগ দেয়া হয় না.কারণ তারা এই ধর্মে শুধু মাত্র ভোগের বস্তু। তাদের বিয়ে দেয়ার বেপারে দ্বিমত পোষণ করলে তারা তাদের ভন্ড ধর্মের দোহাই দে এবং বলে এটা তাদের ধর্মেই বলা আছে মেয়েদের এবং পুরুষদের
তাড়াতাড়ি বিয়ের বেপারে।অথচ আমরা বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে দেখি ,একটি মেয়ে তাড়াতাড়ি বিয়ে করলে অসময়ে গর্ভধারণ করে যার কারণে ডেলিভারির সময় তার মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।এ কেমন ধর্ম যেখানে নারীদের বেঁচে থাকার অধিকার নেই.একটি ছেলের যে বয়সে মাঠে গিয়ে খেলাধুলা করার কথা সে বয়সে যদি তাকে ধর্মের কথা শুনে বিয়ে দেয়া হয় তাহলে
সে সংসার এর বোঝা টানতে কতটা সক্ষম হবে.? ধর্মীয় এই চেতনা দ্বারা মানুষ ঠকছে প্রতিনিয়ত তাদের অজান্তে।যেখানে ধর্মীয় গুরু দ্বারা শিশুরা মেয়েরা নির্যাতন এর শিকার হয়। শিশু দেড় অত্যাচার করে পড়ার বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়.সেটা কিসের ধর্ম। আমরা আধুনিক সমাজের হয়েও কেউ যুক্তি দিয়ে চিন্তা করি না। ধর্মের নামে অন্য ধর্মের মানুশ দেড় হত্যা
করছে নাস্তিক ভেবে। পশ্চিমের দেশগুলোতে নাস্তিকদের সাধারণত পারলৌকিক বিষয়ে আস্থা নেই৷ তাঁরা কোনো বিশেষ মতাদর্শের অনুসারী নয় এবং বিশেষ কোনো আচার-অনুষ্ঠানও পালন করেন না৷ এর জন্য কি ধর্মীয় দোহাই দিয়ে তাদের মেরে ফেলতে হবে? অথচ বিশ্বে আজ এমন অনেক দেশ আছে, এই যেমন জাপান অথবা সুইডেন, যেখানে অধিকাংশ
মানুষই নিজেকে নাস্তিক বলে মনে করেন৷ কিন্তু তাই বলে তাঁরা কি কোনো অংশে ছোট?না ছোট ভাবলে আপনাদের সেটা
চিন্তাধারায় সমস্যা। তারা যুক্তির ওপর বিশ্বাসী। ধর্মীয় ভণ্ডামি থেকে তারা দূরে।তাছাড়া ধার্মিক হলেই যে সেই ব্যক্তি ধর্মসহিষ্ণু হবেন, তেমন কোনো কথা নেই। কেউ কেউ মুখে দাড়ি রেখে সবার উপর রাজত্ব চালিয়ে বেড়ায় ,আসল হচ্ছে
মানুষের ভিতরের মানুষটা ,মানুষের বেক্তিত্ত,.অথচ এই ধর্মে যুক্তি দিয়ে চিন্তা করার সুযোগ তো নেই ই সাথে সাথে পাগড়ি তুপি পড়া দাড়ি ওয়ালা দেড় বিষয়ে কোনো কথা বললেই আপনি হয়ে যাবেন কাফির ,জাহান্নামী। কিছু মানুষ এতটাই অন্ধ হয়ে গেছে যে পরকালের জন্য পুরো জীবন টা ত্যাগ করে যায় অথচ তার অস্তিত্ব এখনো কোনো পীর হুজুর আউলিয়া প্রমান করতে পারে নি.তো আসুন আমরা এইভাবে না ঠকে সব কিছু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করে জীবনে সঠিক উপায়ে চলার চেষ্টা করি।