ধর্মীও শিক্ষা মানুষকে বিজ্ঞান থাকে সরিয়ে মূর্খ বানিয়েছে
কুসংস্কার সমাজে পুরোপুরি আধিপত্য বিস্তার করতে না পারলেও সমাজের বৃহৎ অংশ কুসংস্কার দ্বারা অন্ধ বিশ্বাসেআচ্ছন্ন বর্তমান বিশ্বে এই বিরাট কুসংস্কার হলো ধর্মীয় কুসংস্কার যা মানুষ যে অজ্ঞতা ,অন্ধকারে ডুবিয়ে রেখেছে। উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ধর্মীয় কুসংস্কার সবচেয়ে বেশী।পৃথিবীটা যেন কুসংস্কারে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে।যেমন ইসলাম ধর্মের পীর রা বলে
পীরে বলেছে – “অন্যের হাতের রান্না গ্রাস করা যাবে না। খুব বেশী অসুখ না হলে ডাক্তার দেখান যাবে না, ঔষধ সেবন করা যাবে না।” এগুলো প্রকৃত ধর্ম না ধর্মীয় কুসংস্কার ?,,,তারা আরো বলে মেয়েদের বাইরে বেরিয়ে কাজ করা মানে মেয়েরা পতিতালয়ে বিক্রি হওয়া। মেয়েদের একান্তবাদ্ধতামূলক পর্দার বিধান দেয়া হয়েছে। তাদের নিজেদের মতামত দেয়ার কোনো
অধিকার নেই। এমনকি এই ধর্মএর মতে বিয়ের ক্ষেত্রে মেয়েরা চুপ থাকলেই তাদের সম্মতির লক্ষণ। এটা কেমন নিয়ম যেখানে আধুনিক এই সভ্ভতা সমাজ নারী পুরুষ এর সমান সহযোগিতা ছাড়া উন্নয়ণ সম্ভব নয়.সেখানে তারা নারীদের ঘরে বসে থাকতে বলে ,এই কি তাদের ধর্মীয় আদর্শ।তবে ঐযে বললাম উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ধর্মীয় কুসংস্কার সবচেয়ে বেশী
তারা যুক্তির চেয়ে সত্যের চেয়ে ধর্ম গণ্ডলীকা প্রবাহের মতো অন্ধঅনুসরণ করছে। যেখানে তারা সত্য টা জেনে বা না জেনেও তাদের পীরের অন্ধ অনুকরণ করে যাচ্ছে। একটি মেয়ে প্রায় ই অসুস্থ থাকে কিন্তু তার অসুস্থতার কথা কাউকে প্রকাশ করতো না যখন অসুখের মাত্রা তীব্র আকার ধারণ করে তখন এমনেতেই তা প্রকাশ হয়ে যায়। প্রকাশ পাওয়ার পরও
ভালো ডাক্তারদেখায় না কেউ । একদিন সে আবল – তাবল বকাবকি শুরু করল। সকলে বলল জ্বিনে ধরেছে।এবং মেয়েটিকে তখন ডাক্তার এর কাছে না নিয়ে পীরের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো। সে মেয়েটিকে সবার সামনে ঝাড়ু পেটা করলো, গোবরের বড়ি খাওয়ালো না না রকম অত্যাচার এর পর মেয়েটি প্রায় আধমরা হয়ে গেলো। আধুনিক এই সমাজে
মানুষ এতটা অজ্ঞ এতটা পিছিয়ে কেন জানেন। তার একটাই কারণ তাদের ধর্মীয় সংস্কার ,যেই দেশের জনগণ এতটা মূর্খ এবং অজ্ঞ জাতিতে রূপান্তরিত হচ্ছে সেই দেশ কিভাবে উন্নতি করবে।‘ধর্ম হল অজ্ঞ জনমানুষের কাছে পরমসত্য, জ্ঞানীর কাছে মিথ্যা কুসংস্কার, আর শাসকের কাছে শাসনের উত্তম হাতিয়ার।ধর্ম বিষয়ে এর চেয়ে সত্যি কথা বোধহয় খুব কমই
আছে।মানুষ যুগে যুগে কালে কালে শুধু ধর্ম নামের কুসংস্কার টাকে বেবহার করেছে যার কোনো ভিত্তিনেই। প্রতারণা, হিংস্রতা, ঘৃণা আর গুরুগম্ভীর মিথ্যাকে সম্বল করে মানুষকে বশ্যতা স্বীকার করানোর জন্য ধর্মের চেয়ে ভাল হাতিয়ার পাওয়াকঠিন । যদিও উন্নত দেশগুলোতে ধর্ম আজ নিশ্চিতভাবেই পিছু হঠছে, কিন্তু গরীব দেশগুলোতে ধর্ম আজও জড়িয়ে
রয়েছে সমাজ-রাজনীতি-প্রশাসন-সংস্কৃতির প্রতিটিক্ষেত্রে .আমাদের দেশের রাষ্ট্র ও সমাজের জাতীয় স্তরে যখন চলছে আশারাম-রামদেব-রামরহিমের মত ধর্মীয় রাঘব-বোয়ালদের খেলা, তখন শহরে ও গ্রামে পীর আউলিয়া বাবাজি-মাতাজি জ্যোতিষীদের হাতে প্রতিদিনই লুণ্ঠিত হচ্ছে অসহায় বিশ্বাসী মানুষের সম্মান ,নিরাপত্তা, সম্পদ। এইভাবে ধর্ম প্রতিনিয়ত
আমাদের অজান্তে প্রতারিত করে মূর্খ বানাচ্ছে প্রতিনিয়ত।ধর্মীয় গুণীজনরা তাদের মুখোশের আড়ালে বহু মানুষ ঠকাচ্ছে প্রতিনিয়ত কিন্তু খুব বেশি বোরো সরো অপরাধ করেও তারা ধর্মীয় নিয়ম বানিয়ে ভক্তদের মাঝে চালিয়ে দেয়. এখানেই শেষ নয়। ধর্ম তাদের কতটা অজ্ঞ মূর্খ বানিয়ে দিয়েছিলো ২০২০ এর প্রেক্ষাপটে ফুটে উঠেছিল স্পষ্ট ভাবে করোনা মহামারীর
সময়ে।যখন করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে থমকে গিয়েছিলো পুরো পৃথিবী। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে কারও জানা নেই। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে একমাত্র সচেতনতাই পারে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে আমাদের বাঁচাতে । কিন্তু সমাজের কিছু মানুষ ধর্মের ভ্রান্ত দোহাই দিয়ে প্রতিনিয়ত ঘুরে বেড়াচ্ছে যেখানে-সেখানে। করোনার মতো ভয়াবহ সংক্রামক ব্যাধিকে
কোনো পাত্তাই দিচ্ছে না কিছু ধর্মীয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন ব্যক্তিরা। এতে করোনার ভয়াবহতা আরও মারাত্মক রূপ ধারণ করার সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাদের অন্ধ বিশ্বাস, যারা পাপকর্মে নিমজ্জিত কেবল তারাই এই সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হবে বা মারা যাবে ভাগ্যে থাকলে মৃতু্য এমনিতেই হবে এবং আলস্নাহ ছাড়া করোনাকে ভয় করা ধর্ম বিরুধী কাজ .এখানেই
শেষ নয়। আবার অনেকে মনে করছেন, প্রকৃত মুসলমানরা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হবে না।আবার মহামারিতে আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে পাপী বা জাহান্নামি মনে করা হয়ে থাকে।সেসময়ে কুসংস্কার, অন্ধ বিশ্বাস করোনা পরিস্থিতি আরও মারাত্মক ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। আর এটাই তাদের ধর্মীয় দৃষ্টি ভঙ্গি। এটাই তাদের ধর্ম তাদের শেখায়। আমাদের উচিত নয় কি
যে ধর্ম আমাদের মূর্খতা শেখায় সে ধর্ম ত্যাগ করা ?তবে কিছু কিছু মানুষ এখন বলবে দোষ ধর্মের নয়, ধর্মীর।আল্লার নামে যুবতীকে হত্যা করা হয় প্রস্তরাঘাতে, বিধর্মীর মুণ্ডচ্ছেদ হয় প্রকাশ্য দিনের আলোয়.দোষ আল্লার নয়, বান্দার। ধর্ম পালন কারীরা তাহলে কিসের অনুসারে এই অজ্ঞতা মূলক কাজ করছে। তাদের ধর্মে যদি এরূপ আইন নাই থাকে তাহলে তারা
কেন বলছে তাদের সৃষ্টিকর্তার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তারা এই কাজ করছে।এই কাজ করছে। দোষ ধর্মেরই ,ধর্মীরা শুধু মাত্র বাস্তবায়িত করছে তাদের ধর্মের নীতি।তাহলে আসুন আমরা এই অজ্ঞতা মূর্খতা থেকে বেরিয়ে এসে জাতিকে সভ্ভতায় রূপান্তরিত করতে সাহায্য করি।