এই দুটি আয়াতই যথেষ্ট মোহাম্মদ এবং কোরআনকে মিথ্যা প্রমাণ করার জন্য ।
10) সূরা ইউনুস – (25)
وَاللَّهُ يَدْعُو إِلَىٰ دَارِ السَّلَامِ وَيَهْدِي مَن يَشَاءُ إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
আর আল্লাহ শান্তি-নিরাপত্তার আলয়ের প্রতি আহবান জানান এবং যাকে ইচ্ছা সরলপথ প্রদর্শন করেন।
But Allah doth call to the Home of Peace: He doth guide whom He pleaseth to a way that is straight.
আল্লাহ সর্বশক্তিমান পরম দয়ালু আল্লাহ সবার জন্য সমান । আমরা ছোট সময় থেকে মা-বাবা হুজুর কিংবা জ্ঞানী ব্যক্তিদের থেকে জেনেছি তার অনুগ্রহে সবাই বেঁচে আছি । পৃথিবীর মানুষকে কোন ভেদা ভেদ তিনি শিখেন নি, তিনি সকলকে সমান করে দেখেছেন তার কাছে গরিব বড় সবাই সমান । কিন্তু আমি তখনই অবাক হয়েছি যখন সূরা ইউসুফের (25) নাম্বার আয়াত পাঠ করলাম । আয়াতটি পাঠ করার পর আমার কাছে মনে হয়েছে ,যে আল্লাহ সবার জন্য সমান নয় । কারণ এখানে আল্লাহ বলেছেন একমাত্র আমার অনুগ্রহ ছাড়া কেউ সরল পথ পায় না। তার মানে এখানে আল্লাহ তার ইচ্ছামতন মানুষকে সিলেক্ট করে সরল পথ দেওয়ার জন্য । আর যদি সেটাই হয় তাহলে তিনি আমাদের সৃষ্টি করেছেন কেন, তার জাহান্নামে আমাদেরকে দেওয়ার জন্য তাহলে এটা কি কোন মানবিক বা ভালো কাজ হতে পারে। এটা কোনদিন কোন স্রষ্টার পক্ষ থেকে আসতে পারে না, স্রষ্টা হবে নিরপেক্ষ সে তার ইচ্ছা খুশিতে কারো রায় দিতে পারেনা কাউকে অনুগ্রহ করতে পারে না। যে অনুগ্রহ পাওয়ার যোগ্য তাকে অনুগ্রহ করতে হবে। এটা একটি বৈষম্যপূর্ণ আয়াত এরকম আয়াত কোনদিন স্রষ্টার পক্ষ থেকে আসতে পারে না ।
10) সূরা ইউনুস (94)
فَإِن كُنتَ فِي شَكٍّ مِّمَّا أَنزَلْنَا إِلَيْكَ فَاسْأَلِ الَّذِينَ يَقْرَءُونَ الْكِتَابَ مِن قَبْلِكَ ۚ لَقَدْ جَاءَكَ الْحَقُّ مِن رَّبِّكَ فَلَا تَكُونَنَّ مِنَ الْمُمْتَرِينَ
সুতরাং তুমি যদি সে বস্তু সম্পর্কে কোন সন্দেহের সম্মুখীন হয়ে থাক যা তোমার প্রতি আমি নাযিল করেছি, তবে তাদেরকে জিজ্ঞেস করো যারা তোমার পূর্ব থেকে কিতাব পাঠ করছে। এতে কোন সন্দেহ নেই যে, তোমার পরওয়ারদেগারের নিকট থেকে তোমার নিকট সত্য বিষয় এসেছে। কাজেই তুমি কস্মিনকালেও সন্দেহকারী হয়ো না।
If thou wert in doubt as to what We have revealed unto thee, then ask those who have been reading the Book from before thee: the Truth hath indeed come to thee from thy Lord: so be in no wise of those in doubt.
সূরা ইউসুফ এর ৯৪ নাম্বার আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি মোহাম্মদ কোরানের উপরে সন্দেহ পোষণ করেছিল । সে বিশ্বাস করতে চাচ্ছিল না যে এটা আল্লাহর পক্ষ থেকে এসেছে, এজন্য আল্লাহ তাকে বলেছে তুমি যদি বিশ্বাস না কর তাহলে তোমার পূর্ববর্তী দেরকে জিজ্ঞাসা কর, অতঃপর তোমার সন্দেহ মুক্ত হবে । দেখেন পূর্ববর্তী কিতাব হচ্ছে ইঞ্জিন এটা ঈসা আলাই সাল্লাম এর উপর নাযিল হয়েছে তাহলে ঈসার অনুসারী যারা তারা তো এখন খ্রিস্টান হিসেবে আমরা জানি। আচ্ছা খ্রিস্টানদের কে আপনি যদি জিজ্ঞাসা করেন কোরআন কি সত্য, তাহলে তারা কি উত্তর দিবে কোরআন সত্য, কখনোই না তারা মোহাম্মদ এবং মোহাম্মদের কোরআনকে কখনোই বিশ্বাস করে না । তাহলে আমরা এই আয়াত থেকেই জানতে পারি মোহাম্মদ এবং এই কোরআন দুটোই মিথ্যে ছিল, কারণ যদি স্রষ্টার পক্ষ থেকে কোন কোরআন অবতীর্ণ করা হতো তাহলে এই কুরআনে বিন্দু পরিমান সন্দেহ করার ক্ষমতা কারো থাকতো না। আজ আমরা এটা নিয়ে কথা বললে খারাপ কিন্তু স্বয়ং মোহাম্মদের কোরআনের বিরুদ্ধে কথা বলেছিল । এটা নিয়ে তো কেউ কোনদিন কোন কথা বলেনি, কাউকে বলতেও শুনবেন না আজ আমরা বলেছি বা আমি বলছি এটার জন্য আমি হয়তো সবার কাছে খারাপ হব। কিন্তু এটাই সত্য মোহাম্মদ একজন মিথ্যাবাদী ছিল I