সৃষ্টিকর্তা

আল্লাহ কি স্বৈরাচারী বাদশাহ?

১. সিংহাসনে বসেন। ঘুরে বেড়ান এবং তাকে বহন করা যায়। সূরা:৩৯:৭৫;৪০:৭;১১:৭;১০:৩

২. ওনার সম্রাজ্য নিয়ে উৎকণ্ঠায় থাকেন। সূরা ২:২৮৪

৩.ওনার সেনাদের পাঠিয়ে যুদ্ধ করেন। সূরা ৯:১১১;৩:-১২৪-১২৭

৪. সম্রাজ্যে অন্য শাসকের প্রতি অনুগত্য মেনে নেন না। সূরা ৪:৪৮

৫. অন্য শাসকদের গুপ্তচরদের ব্যাপারে সাবধান করেন। সূরা ৪৯:৬-৮;৬৩:১

৬.ওনার নিজের একার রচিত আইনে রাজ্য শাসন করেন। সূরা ৫১-৫২

৭.বিজয় স্তম্ভ স্থাপনের হুকুম দেন। সূরা ২:১২৫

৮.সাক্ষ প্রমান ও দলিল দস্তাবেজ দিয়ে বিচার করেন। সূরা ১৭:১৩

৯.গলায় বেড়ি বেঁধে আসামিদের হাজির করেন। সূরা ৪০:৭১; ৭৬:৪

১০.প্রতিনিধির লিখিত তথ্যের উপর নির্ভর করেন। সূরা ৫০:১৬-১৮;৮২:১০-১২

১১. অন্যদের দিয়ে কাজ করিয়ে থাকেন। সূরা ৪:১৩১;

১২.বিচারের শুরুতে চার্জশিট দেন ও পরে লিখিত রায় প্রদান করেন। সূরা ৬:১৫৯, ১৮:৪৯, ১৭:১৩

১৩.তার শাসন না মানলে কঠোর শাস্তি দেন। সূরা ৯:৬৩

১৪. মানুষ সম্রাটের মতন হাত, বাদশাহী মুখ,চোখ, সন্তুষ্টি ,ক্রোধ,ইচ্ছা, বন্ধু ও শত্রু আছে। সূরা ২৮:৮৮; ৫৪:১৪; ৭:১৫২;

১০:৬২-৬৩

১৫. উপঢৌকন, আনুগত্য ও প্রয়োজনে প্রজাদের কাছ থেকে কোষাধক্যে

ঋণ বা অনুদান সংগ্রহ করেন। সূরা ২:২৪৫

১৬.বিচারের সময় তার পাইক পেয়াদা আছে যারা ধরে নিয়ে যায়। সূরা ৪:৯৭

১৭.তার বার্তা প্রতিনিধিদের কাছে পৌঁছে দেন ও তার বার্তা এলান

করান, সিঙ্গা ফুকিয়ে হাজির হবার জন্য হুকুম করেন। সূরা ৩৬:৫১-৫৩

১৮. আইন অমান্যের ব্যাপারে সাবধান করেন। সূরা ৭০:২৭-২৮

১৯. যা কিছু আছে সব নিজের বলে দাবি করেন। সূরা ৪:১৩১

২০. পরিকল্পনা ও ষড়যন্ত্র করেন। সূরা ৮:৩০

২৪. সর্বদা তাবেদারী ও উপঢৌকন চান। সূরা ৫১:৫৬ ২:২৬৩; ৩৭:১৬৪-১৬৬

২৫.শত্রুদের খুঁজে বের করে হত্যা করে তাদেরকে হুকুম মানতে বাধ্য করতে বলেন আর না মানলে হত্যা করতে বলেন।

সূরা ৮:৩৯; ৯:৫, ৯:৬

২৬. ধর্মীয় মতের পার্থক্যের কারণে নিয়মিত কর আদায় করেন। সূরা ৯:২৯

২৭. তার অনুসারীদের শ্রেষ্ঠ মানুষ বলেন আর তার বিরুদ্ধচারীদের

পশু ও নোংরা বলেন। সূরা ৯:২৮, ২:১৪৩, ৯৮:৬

২৮. নিজেকে অতুলনীয় শ্রেষ্ঠ বলেন। সূরা ১১২:৪

২৯.সর্বদা মানুষদের উপর নজরদারিত্ব করেন। সূরা ২:২৩৩

৩০. ভালো মন্দ ভাবনার স্বাধীনতা হনন করেন। সূরা ২:২১৬

৩১. নিজেকে প্রশ্নাতীত ভাবেন। সূরা ৫:১০১;২১:২৩

৩২.অত্যাচার করে তাকে পরীক্ষা বলেন আর নিজের বিফলতা ঢাকেন

অথচ মানুষের নিজেদের সফলতাকে খাটো করে দেখেন। স্বাধীন সত্তাকে গুড়িয়ে দেন। সূরা ৪:৭৮-৭৯

৩৩. তার নিজের সন্তুষ্টিকেই একমাত্র পরোয়া করেন। সূরা ৩৫:২৮

৩৪. সকল প্রশংসা কেবল তার নিজের অধিকার দাবি করেন। সূরা ১:১

৩৫. মানুষকে তার দাসদাসী ভাবেন। সূরা ৩৫:২৮

৩৬. তার নিজের লোকদের সহায়তার জন্য শক্তি বৃদ্ধি করিয়ে থাকেন আরও সেনা পাঠিয়ে। সূরা ৯:৪০

৩৭. খেপে গিয়ে বিরক্ত ও ধর্য্যহারা হয়ে শেষ বারের মতন সাবধানকারী পাঠান। সূরা ৩৩:৪০

৩৮. তিনি “আল মুমিত” অর্থাৎ ধ্বংসকারী। রেগেমেগে হঠাৎ ধ্বংসজজ্ঞ চালান। সূরা ৪৭:১৮

৩৯. রাজ্য থেকে বহিস্কার করেন। সূরা ২:৩৮

৪০. খাওয়া দাওয়া দিয়ে কষ্ট দেন তার সন্তুষ্টি অর্জনের শর্তে ও বোঝাতে চান ক্ষুধার যন্ত্রনা দিয়ে সৃষ্টি করে পরে খাইয়ে প্রচুর

দয়া করেছেন। সূরা ২:১৮৩; ২৭:৬০

৪১. সারাক্ষন তার গুণগান দাবি করেন। সূরা ২১:১৯-২০

৪২. প্রচন্ড প্রতিশোধ পরায়ণ। সূরা ৭:১৩৬; ১৪:৪; ৩২:২২;৪৩:৪১

৪৩. একটি নির্দিষ্ট ভাষাকে অগ্রাধিকার দেন। সূরা ৪১:৪৪

৪৪. তার পছন্দের মানুষ ও চামচাদের জায়গীর ও জমিদারিত্ব দান করেনও তার কাছাকাছি রাখেন। সূরা

৩:১৯৮;২০:১৩১;৩:১৪-১৫

৪৫. যুদ্ধে নারীদের ধর্ষণ ও দাসী বানানোর হুকুম দেন। সূরা ৭০:৩০

৪৬. বিরোধীদের সম্পদ লুট করে ভাগ বাটোয়ারা করান। সূরা ৮:৪১

৪৭. ঘৃণিত বীভৎস ভয়ংকর যুদ্ধকে তার পথ বলে হুকুম দেন এবং চিন্তা শক্তিকে হত্যা করেন। সূরা ২:২১৬

৪৮. তিনি বহুরূপী। তাকে দেখেও দেখা যায় না। সূরা ৫৭:৩

৪৯. তার পছন্দের মানুষদের মদ-নারী দিয়ে পুরস্কৃত করেন। সূরা ৪৭:১৫;৫৫:৭৪

৫০. রাজত্ব হারানোর ভাবনায় বিয়ে করেন না, সন্তান জন্ম দেন না। সূরা ১১২;১-৪; ২৩:৯১

৫১.যাকে খুশি তাকে পথ দেখান আর অন্যদের বিপথে নেন। সূরা ৭৪:৩১

৫২.সুইসাইড স্কোয়াড তৈরী করেন। সূরা ৪৯:১৫ ৮:১৫-১৬

৫৩:শত্রুদের মনের ভেতরে সন্ত্রাসের ভীতি সৃষ্টি করেন। সূরা ৩:১৫১, ৮:৬০

৫৪.নৃশংসতায় আনন্দ শেখান । সূরা ৯:১৪

৫৫.”মুকাত্তা” আয়াতের অর্থ না বুঝলেও পড়তে ও মানতে বলেন। ২৯ টি সূরার প্রথমে অর্থ না জানা শব্দে সূরা শুরু হয়।

যেমন সূরা ২: আলিফ-লম্-মিম

৫৬.স্ববিরোধী কথাবার্তা বলেন। যা চান তা বললেই হয়ে যায় কিন্তু পৃথিবী আবার ছয় দিনে তৈরী করেন। সূরা ৭:৫৪; ২:১১৭

৫৭.কর্তৃত্বাধীন নারী বিবাহিতা হলেও তার সাথে যৌনসঙ্গম আইনত সিদ্ধ ঘোষণা করেন। সূরা ৪:২৪

৫৮.মাসিক শুরু হয়নি এমন বয়সের মেয়ের সাথেও যৌনসঙ্গম আইনসম্মত বলেন । সূরা ৬৫:৪

৫৯: বিচারকার্যে দয়ার রাস্তা বন্ধ করেন। সূরা ২৪:২

৬০. জীবন-মৃত্যুর মাঝখানে রেখে বর্বরতম শাস্তি দেন । সূরা ৫৭:২

৬১. তিনি বর্ণবাদী। সূরা ৭৫:২৩; ৩:১০৬

৬২. ভয়ংকর হুমকি-ধামকি দেন ও শেখান। সূরা ৯:৫২

৬৩. অস্ত্রে ও হত্যায় জয় মনে করেন। সূরা ৮:৩১

৬৪. অপরপক্ষকে বোঝানোর পর না মানলে কঠোর শাস্তির ভয় দেখিয়ে হুকুম মানতে বাধ্য করেন। সূরা ৯:৬৩

৬৫. তার রাজত্বে অনুসারীদেরকে বলেন তাদের পরিবারের সদস্যদের চাইতে তাকে বেশি ভালোবাসতে ও তার হুকুম মানতে

যদি পুরস্কৃত হতে চায় বা শাস্তি না পেতে চায়। সূরা ৯:২৪

৬৬. প্রচন্ড অলস। নিজেই যা করতে পারেন তা ফেরেশতা বা অন্যদের দিয়ে করান। কিন্তু আবার বলেন তাকে আলস্য ছোঁয়

না। যেমন ঈসাকে রুহুল কুদ্দুস দিয়েছিলেন। সূরা ২:২৫৩; ৩৫:৩৫

৬৭. তার প্রিয়জনদের জন্য দারোয়ান নিয়োগ করেন। সূরা ১৩:১১

৬৮. তার দরবারে আহবায়ক রাখেন মেহমানদের তদারকির জন্য। সূরা ১৩:২৩-২৪

৬৯. ফেরেস্তারা তার সিংহাসনকে ঘিরে দারোয়ানী করবে বিচাররে দিনে আর সবার উপরে সিংহাসনে তাকে বসিয়ে তুলে

ধরবে। সূরা ৬৯:১৭

৭০. সিঙ্গা ফুকিয়ে সাইরেন বাজিয়ে সব ধ্বংসের কাজ শুরু হবে। সূরা ৩৯:৬৮

৭১. বিচার সম্পন্ন হবার আগেই শাস্তি শুরু হয়ে যায় । সূরা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button