Shadhinmonধর্ম

পৃথিবীতে অসহায় মানুষের রিজিকের দায়িত্ব কার

রিজিকের মা‌লিক তি‌নি, তি‌নি ছাড়া আর কোন রিজিকের নেই,মুসলিম ধর্মাবলম্বিগণ জন্মের পর থেকে এই কথাগুলো শুনে শুনে শিশু থেকে পরিণত বয়সে পৌঁছে এবং আমৃত্যু এই বিশ্বাস ই লালন করে নিজের ভেতর।এক শ্রেনীর মানুষ আমরা দেখি,(বিশেষ করে মুমিন) সামাজিক,আর্থিক ও অন্যান্য অবস্থা তারা বিবেচনা না করে,গন্ডায় গন্ডায় বাচ্চা পয়দা করে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করলে এক কথায় উত্তর দেয় “রিজিকের মালিক আল্লায়,আল্লায় দিসে আল্লাই খাওয়াইবো।”

আসলেই কি আল্লায় খাওয়ায় ? আল্লায় জীবনধারণের মৌলিক চাহিদা পূরণ করে ? রিজিক কি আল্লা দেয় ?

কুরআন এবং হাদিস থেকে আমরা জানবো রিজিকের বিষয়ে কি বলা আছে। আর পার্থিব জীবনে আমরা কি দেখতে পাই ।

১| সূরা হুদ (Hud)১১:৬

আর যমীনে বিচরণকারী প্রতিটি প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব আল্লারই এবং তিনি জানেন তাদের আবাসস্থল ও সমাধিস্থল । সব কিছু আছে স্পষ্ট কিতাবে ।

আল-বায়ান

যমীনে বিচরণশীল এমন কোন জীব নেই যার জীবিকার দায়িত্ব আল্লাহর উপর নেই, তিনি জানেন তাদের থাকার জায়গা কোথায় আর কোথায় তাদেরকে (মৃত্যুর পর) রাখা হয়, সব কিছুই আছে সুস্পষ্ট লিপিকায়।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=1479

২| সূরা আলে ইমরান(Al-i-Imran)৩:৩৭

অতঃপর তার রব তাকে উত্তমভাবে কবুল করলেন এবং তাকে উত্তমভাবে গড়ে তুললেন। আর তাকে যাকারিয়্যার দায়িত্বে দিলেন। যখনই যাকারিয়্যা তার কাছে তার কক্ষে প্রবেশ করত, তখনই তার নিকট খাদ্যসামগ্রী পেত। সে বলত, ‘হে মারইয়াম, কোথা থেকে তোমার জন্য এটি ? সে বলত, ‘এটি আল্লাহর পক্ষ থেকে। নিশ্চই আল্লাহ যাকে চান বিনা হিসাবে রিজিক দান করেন’।

আল-বায়ান

তখন তার প্রতিপালক তাকে সন্তুষ্টি সহকারে গ্রহণ করলেন এবং তাকে উত্তমরূপে লালন পালন করলেন এবং যাকারিয়াকে তার তত্ত্বাবধায়ক করলেন। যখনই যাকারিয়া মারইয়ামের কক্ষে প্রবেশ করত, তার কাছে খাদ্য সামগ্রী দেখতে পেত; জিজ্ঞেস করত- হে মারইয়াম! ‘এসব কোত্থেকে তোমার কাছে আসে’? মারইয়াম বলত, ‘ওসব আল্লাহর নিকট হতে (আসে)’। নিশ্চয়ই আল্লাহ যাকে ইচ্ছে বেহিসাব রিজিক দান করেন।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=330

৩| সূরা আল-আনকাবূত(Al-Ankabut) ২৯:৬০

আর এমন কত জীব-জন্তু রয়েছে, যারা নিজেদের রিজিক নিজেরা সঞ্চয় করে না,আল্লাহই তাদের রিজিক দেন এবং তোমাদেরও। আর তিনি সর্বশ্রোতা, মহাজ্ঞানী।

আল-বায়ান

এমন অনেক জীবজন্তু আছে যারা নিজেদের খাদ্য মজুদ রাখে না, আল্লাহই তাদেরকে রিযক দান করেন আর তোমাদেরকেও। তিনি সব কিছু শোনেন, সব কিছু জানেন।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=3400

৩| সূরা আল-আনকাবূত(Al-Ankabut) ২৯:৬২

আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা করেন রিজিক প্রশস্ত করে দেন এবং যার জন্য ইচ্ছা সীমিত করে দেন। নিশ্চয় আল্লাহ সকল বিষয়ে সম্যক অবগত।

আল-বায়ান

আল্লাহ্ই তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে রিজিক প্রশস্ত করেন আর যার জন্য ইচ্ছে সীমাবদ্ধ করেন। আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্বাধিক অবগত। ~~তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=3402

৪| সুরা আল-ইসরা (Al-Isra)১৭:৩০

নিশ্চয়ই তোমার রব যাকে ইচ্ছা তার জন্য রিজিক প্রশস্ত করে দেন এবং সীমিত করে দেন। তিনি অবশ্যই তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞাত, পূর্ণ দ্রষ্টা।

আল-বায়ান

তোমার প্রতিপালক যার জন্য ইচ্ছে রিজিক প্রশস্ত করেন, যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন, তিনি তাঁর বান্দাদের সম্পর্কে ওয়াকিফহাল, প্রত্যক্ষদর্শী।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=2059

৫| সূরা আল-বাকারা(Al-Baqara)২:২১২

যারা কুফরী করেছে, দুনিয়ার জীবনকে তাদের জন্য সুশোভিত করা হয়েছে। আর তারা মুমিনদের নিয়ে উপহাস করে। আর যারা তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তারা কিয়ামত দিবসে তাদের উপরে থাকবে। আর আল্লাহ যাকে চান, বেহিসাব রিজিক দান করেন।

আল-বায়ান

কাফিরদের নিকট পার্থিব জীবন মোহনীয় করা হয়েছে এবং তারা মুমিনদেরকে বিদ্রূপ করে থাকে, বস্তুতঃ ক্বিয়ামাতের দিন মুত্তাকীগণ তাদের চেয়ে উন্নত অবস্থায় থাকবে, আল্লাহ যাকে ইচ্ছে অপরিমিত রিজিক দিয়ে থাকেন।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=219

৬|সূরা আয-যা‌রিয়াত(Adh-Dhariyat) ৫১:৫৮

নিশ্চয় আল্লাহই রিজিকদাতা, তিনি শক্তিধর, পরাক্রমশালী।

আল-বায়ান

আল্লাহই তো রিযকদাতা, মহা শক্তিধর, প্রবল পরাক্রান্ত।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=4733

৭| সূরা আশ-শূরা(Ash-Shura) ৪২:১৯

আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি অতি দয়ালু। তিনি যাকে ইচ্ছা রিজিক দান করেন। আর তিনি মহাশক্তিধর, মহা পরাক্রমশালী।

আল-বায়ান

আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের প্রতি মেহেরবান, তিনি যাকে যা ইচ্ছে রিজিক দেন। তিনি প্রবল, মহাপরাক্রমশালী।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=4291

৮| সূরা আশ-শূরা(Ash-Shura) ৪২:২৭

আর আল্লাহ যদি তার বান্দাদের জন্য রিজিক প্রশস্ত করে দিতেন, তাহলে তারা যমীনে অবশ্যই বিদ্রোহ করত। কিন্তু তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণে যা ইচ্ছা নাযিল করেন। নিশ্চয় তিনি তাঁর বান্দাদের ব্যাপারে পূর্ণ অবগত, সম্যক দ্রষ্টা।

আল-বায়ান

আল্লাহ যদি তাঁর সকল বান্দাহদের জন্য রিজিক পর্যাপ্ত করে দিতেন, তাহলে তারা অবশ্যই যমীনে বিদ্রোহ সৃষ্টি করত; কিন্তু তিনি একটা নির্দিষ্ট পরিমাণে যতটুকু ইচ্ছে নাযিল করেন। তিনি তাঁর বান্দাহ্দের সম্পর্কে পূর্ণ ওয়াকিফহাল, তিনি তাদের প্রতি সর্বদা দৃষ্টি রাখেন।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.net/quran/link/?id=4299

এই আয়াত থেকে এটা বুঝা গেলো না আল্লা পর্যাপ্ত রিজিক দিলে দুনিয়াতে কিসের বিদ্রোহ সৃষ্টি হতো বা কি বিপর্যয় সৃষ্টি হতো !!

বরং পর্যাপ্ত খাদ্য বা রিজিকের অভাব বলেই পৃথিবীতে এতো হানাহানি ,এতো দুর্ভিক্ষ ,এতো অনাহারে মৃত্যু আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাই ।

৯| সূরা সাবা(Saba) ৩৪:৩৯

বল, ‘নিশ্চয়ই আমার রব তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তোমরা যা কিছু আল্লাহর জন্য ব্যয় কর তিনি তার বিনিময় দেবেন এবং তিনিই উত্তম রিজিকদাতা।’ 

আল-বায়ান

বল- আমার প্রতিপালকই তাঁর বান্দাহদের মধ্যে যার জন্য ইচ্ছে রিজিক প্রশস্ত করেন, আর যার জন্য ইচ্ছে সীমিত করেন। তোমরা যা কিছু (সৎ কাজে) ব্যয় কর, তিনি তার বিনিময় দেবেন। তিনিই সর্বশ্রেষ্ঠ রিজিকদাতা।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=3645

১০| সূরা আর-রুম(Ar-Rum) ৩০:৩৭

তারা কি দেখেনি, নিশ্চয়ই আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা রিজিক প্রশস্ত করেন এবং সঙ্কুচিত করেন। নিশ্চয়ই এতে নিদর্শনাবলী রয়েছে সেই কওমের জন্য, যারা ঈমান আনে।

আল-বায়ান

তারা কি লক্ষ্য করে না যে, আল্লাহ যার জন্যে ইচ্ছে করেন রিযক প্রশস্ত করেন আর (যার জন্য ইচ্ছে) সীমাবদ্ধ করেন? বিশ্বাসী লোকেদের জন্য অবশ্যই এতে বহু নিদর্শন আছে।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=3446

১১| সূরা আল-মুলক(Al-Mulk) ৬৭:২১

অথবা এমন কে আছে, যে তোমাদেরকে রিজিক দান করবে যদি আল্লাহ তাঁর রিজিক বন্ধ করে দেন? বরং তারা অহমিকা ও অনীহায় নিমজ্জিত হয়ে আছে।~~আল-বায়ান

অথবা এমন কে আছে যে তোমাদেরকে রিযক দিবে যদি তিনি তাঁর রিযক বন্ধ করে দেন? আসলে তারা অহমিকা ও অনীহায় ডুবে আছে।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=5262

১২| সূরা আয-যুখরূফ(Az-Zukhruf) ৪৩:৩২,

তারা কি তোমার রবের রহমত ভাগ-বণ্টন করে? আমিই দুনিয়ার জীবনে তাদের মধ্যে তাদের জীবিকা বণ্টন করে দেই এবং তাদের একজনকে অপর জনের উপর মর্যাদায় উন্নীত করি যাতে একে অপরকে অধিনস্থ হিসেবে গ্রহণ করতে পারে। আর তারা যা সঞ্চয় করে তোমার রবের রহমত তা অপেক্ষা উৎকৃষ্ট।~~আল-বায়ান

অথবা এমন কে আছে যে তোমাদেরকে রিযক দিবে যদি তিনি তাঁর রিযক বন্ধ করে দেন? আসলে তারা অহমিকা ও অনীহায় ডুবে আছে।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=4357

১৩| সূরা আয-যা‌রিয়াত(Adh-Dhariyat) ৫১:২২

আকাশে রয়েছে তোমাদের রিয্ক ও প্রতিশ্রুত সব কিছু। ~~আল-বায়ান

এবং আকাশে আছে তোমাদের রিজিক আর আছে যার ও‘য়াদা তোমাদেরকে দেয়া হয়েছে।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=4697

এই আয়াত থেকে বুঝা গেলো আল্লার বান্দাদের সকলের রিজিক রয়েছে আকাশে।মানে খাদ্য (জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু) ও রিজিকের জন্য আমাদের আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ।

১৪| সূরা আত তালাক (At-Talaq) ৬৫:৩

এবং তিনি তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দিবেন যা সে কল্পনাও করতে পারবে না। আর যে আল্লাহর ওপর তাওয়াক্কুল করে আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট। আল্লাহ তাঁর উদ্দেশ্য পূর্ণ করবেনই। নিশ্চয় আল্লাহ প্রত্যেক জিনিসের জন্য একটি সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

আল-বায়ান

আর তাকে রিজিক দিবেন (এমন উৎস) থেকে যা সে ধারণাও করতে পারে না। যে কেউ আল্লাহর উপর ভরসা করে, তবে তার জন্য তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ নিজের কাজ সম্পূর্ণ করবেনই। আল্লাহ প্রতিটি জিনিসের জন্য করেছেন একটা সুনির্দিষ্ট মাত্রা।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.com/quran/link/?id=5220

১৫| সূরা আর-রাদ (Ar-Ra’d)১৩:২৬

আল্লাহ যার জন্য ইচ্ছা করেন রিজিক বাড়িয়ে দেন এবং সঙ্কুচিত করেন। আর তারা দুনিয়ার জীবন নিয়ে উৎফুল্লতায় আছে, অথচ আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন খুবই নগণ্য। ~~আল-বায়ান

আল্লাহ রিজিক সম্প্রসারিত করেন যার জন্য ইচ্ছে করেন, আর যার জন্য চান সীমিত পরিমাণে দেন। তারা পার্থিব জীবনে আনন্দে মেতে আছে অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবন অতি নগণ্য বস্তু।

তাইসিরুল

https://www.hadithbd.net/quran/link/?id=1733

তিনি যদি জমিনে অবস্থিত সবার রিজিকের দায়িত্ব নিয়ে থাকেন তাহলে কেনো কেউ কেউ খাদ্যের অভাবে মারা যায়,তাদের মধ্যে অনাহারী নিষ্পাপ শিশুও রয়েছে পাপ-পুণ্য কিছুই যারা বুঝেনা,জানেনা।কেনো ডাস্টবিন থেকে উচ্ছিষ্ট উঠিয়ে খায় ক্ষুধার্ত কিছু মানুষ।অন্যদিকে আর একদল পর্যাপ্ত আছে আবার অতিরিক্ত ও আছে।

তাহলে রিজিকের সঠিক বণ্টন কিভাবে হলো?কেন যাকে ইচ্ছা ভরপুর দিবে আর যাকে ইচ্ছা বঞ্চিত করবে?দায়িত্ব নিয়ে তো সে স্বেচ্ছাচারিতা করছে।

আল্লার নবী বলেছে,‘হে মানুষ! তোমরা আল্লাহকে ভয় করো।ধনসম্পদ সংগ্রহে উত্তম পন্থা অবলম্বন করো। কেননা কেউ তার রিজিক পরিপূর্ণ না করে মৃত্যুবরণ করবে না। যদিও তা অর্জনে বিলম্ব হোক না কেন।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ)

পরিচ্ছেদঃ ৩৩. আল্লাহ তা’আলার উপর পুরোপরি নির্ভরশীল হওয়া

২৩৪৪। উমার ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা যদি প্রকৃতভাবেই আল্লাহ্ তা’আলার উপর নির্ভরশীল হতে তাহলে পাখিদের যেভাবে রিজিক দেয়া হয় সেভাবে তোমাদেরকেও রিজিক দেয়া হতো। এরা সকালবেলা খালি পেটে বের হয় এবং সন্ধ্যা বেলায় ভরা পেটে ফিরে আসে।

সহীহ, ইবনু মা-জাহ (৪১৬৪)

https://www.hadithbd.com/hadith/link/?id=41019

মোহাম্মদ পাখীদের উদাহরণ দিয়ে রিজিক নিশ্চিত করেছে অথচ পার্থিব জীবনে আমরা দেখতে পাই এক শ্রেনীর মানুষ সকাল থেকে আধ পেট খেয়ে কিংবা একেবারে খালি পেটে খাদ্যের অন্বেষণে ঘুরে বেড়ায়,দিন শেষে ভরা পেটে তো দূর ক্ষুধার্ত অবস্থায়ই রাতে ঘুমায়।

এই দায়ভার তাহলে কার ? সেই মোহাম্মদের যে তার আল্লার দ্বারা সকলের রিজিক নিশ্চিত করেছে নাকি সেই আল্লার যে নিজেই প্রত্যেক প্রাণীর রিজিকের দায়িত্ব নেয়ার কথা তার কুরআনে নিশ্চিত করেছে ।

আল্লাতো একদম মোগাম্মদের মতোই বাটপার। রিজিক নিশ্চিত করতে পারেনা আবার বড় বড় কথা বলে !!

পৃথিবীতে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে না খেয়ে আমার কথা হচ্ছে রিজিকের মালিক যদি আল্লাহ হয়ে থাকে তাহলে এদের রিজিকের ব্যবস্থা কেন করা হলো না তাহলে এই আয়াতগুলো কেন নাযিল করা হয়েছিল আমি জানি এটার কোন সুস্থ এবং সুন্দর ব্যাখ্যা আমাকে কেউ দিতে পারবে না

আপনারা অবশ্যই নিজেরাই নিজেদের বিবেক দিয়ে বিচার করে দেখবেন পৃথিবীতে রিযিকের অভাব রয়ে গেছে যদি সৃষ্টিকর্তা সবার জন্য প্রাপ্ত রিজিক দিতো তাহলে পৃথিবীতে মানুষ খাদ্যের অভাবে মারা যেত না আজকে মানুষ খাদ্যের অভাবের কারণে চুরি-ডাকাতি মানুষ হত্যা এ ধরনের অন্যায় করে থাকে, আজ পর্যাপ্ত রিজিক মানুষ পেত তাহলে এ ধরনের অন্যায় কোন মানুষের দ্বারাই হতো না, আপনি আপনার বিবেকের কাছে একবার প্রশ্ন করে দেখবেন ।

আমাদের সঠিক এবং করণীয় কাজ কি, আমি একজন সচেতন মানুষ হিসাবে মনে করি আমাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ, এবং সমাজে সুশিক্ষা দ্বারা, আমরা একটি উন্নত জাতির দিকে আগাতে পারি, যাতে তারা পৃথিবীতে মানবতা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে, যেখানে কেউ না খেয়ে থাকবে না কেউ খাদ্যের অভাবে মারা যাবে না, এবং তারা তাদের জীবনের সকল অধিকার নিয়ে বাঁচবে।

এখানে ইউনাইটেড ন্যাশন এর দেওয়া আর্টিকেলটি দেওয়া হয়েছে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button