নবীর দেশে সৌদি আরবে সব থেকে বেশি নারী ধর্ষণ হচ্ছে
নবীর দেশে সৌদি আরবে সব থেকে বেশি নারী ধর্ষণ হচ্ছে। হ্যাঁ এটাই বর্তমান পরিস্থিতি আপনাদের পবিত্র দেশ সৌদি আরবের। যেই দেশে প্রতি বছর শত কোটি কোটি মানুষ যায় হজ্জ্ব করতে। পবিত্র হতে। সেই দেশেই অপবিত্রতার মাত্রা সীমাহীন। পবিত্রতার সাদা চাদর এর নিচে কতটা জঘন্য ইতিহাস লুকিয়ে আছে তা কেউ দেখে না বা জানে না আর জানার চেষ্টাও করে না.কারণ তাদের ধর্ম নিঃসন্দেহে পবিত্র শান্তির প্রতীক। তাদের ধর্মে কোনো ভুল অপবিত্র কাজ হতেই পারে না.
এই তাদের অন্ধ বিশ্বাস এই তাদের কুসংস্কার।তাদের অন্ধ বিশ্বাস দিন দিন তাদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। দিন দিন ধর্ষণ এর সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে।সৌদি আরব একটি সচ্ছল দেশ.এই দেশের মানুষ নাকি ধার্মিক হয়.এবং খোদা ভীরু হয়.এই কারণে দরিদ্র সীমার নিচে বসবাস করি দেশের নারী পুরুষ উভয়ই সৌদি আরবে আসে কর্মের সন্ধানে।মেয়েরা সাধারণত বাইরে ভারী কাজ করতে পারে না। তাই তারা সৌদি আরবের বিত্তশালী মানুষদের বাসা বাড়িতে কাজ করে থাকে,কিছু টাকা
কমানোর আসায় এবং বাবা মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর আশায়। কিন্তু সৌদি আরবের ধনী মুনিব ,মুনিবের ছেলে প্রায়ই সেই দরিদ্র মেয়েদের দিনের পর দিন ধর্ষণ করে থাকে এবং তাদের অবলা পেয়ে অত্যাচার নির্যাতন করে থাকে।তারা তাদের বিরুদ্ধে কোনপদক্ষেপ ও গ্রহণ করতে পারে না কারণ তাদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়া হয় তাছাড়া তারা বিত্তশালী তাদের বিরুদ্ধে কিছু করাও সেই অসহায় মেয়েদের পক্ষে অসম্ভব। তারা তাদের সেই অন্ধকার জগতে দিনের পর দিন সেভাবেই ধর্ষিত লাঞ্চিত হতে থাকে। এই কি তাদের পবিত্র দেশের বৈশিষ্ট ? তাছাড়া তারা যদি সেই বিষয়ে অভিযোগ ও করে তাহলে
একটি মেয়ে ধর্ষিত হলে প্রথমে দেখা হয় সে পর্দা করেছিল কিনা সে পর্দা লঙ্ঘন করে কাজ করেছিল কিনা তারপর তার চারিত্রিক বৈশিষ্ট নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। তারপর জিজ্ঞেস করা হয় কিভাবে ধর্ষণ করেছিল। মেয়েটি যদি পর্দা রত অবস্থায় না থাকে তাহলে সব দোষ মেয়েটির ঘাড়ে দেয়া হয় এবং মেয়েটিকে উল্টা শাস্তি প্রদান করা হয়.এই তাদের বিধান এই তাদের নিয়ম। আচ্ছা আমার প্রশ্ন হলো আপনি কতক্ষন পর্দা করে কাজ করতে পারবেন ? এখন আপনারা বলবেন।মেয়েদের জন্য
পর্দার বিধান স্রষ্টার তরফ থেকে। আচ্ছা আপনি পর্দা করুন দেখুন তো কতক্ষন থাকতে পারেন বন্দি হয়ে. কারো পক্ষে কি ২৪ ঘন্টা পর্দা করে থাকা সম্ভব ? যেই দেশে ধর্ষিতা কে শাস্তি দেয়া হয় ধর্ষক কে নয় সে দেশ কিসের পবিত্র ? যে দেশে কোনো নারী যদি ধর্ষিতা হয় সে ধর্ষণ হয়েছে প্রমানের জন্য ৪ জন পুরুষ সাক্ষী উপস্থিত করতে হবে। এমনকি কোনো মেয়ে সাক্ষী গ্রহণযোগ্য নয়.যদি মেয়েটি পুরুষ সাক্ষী জোগাড়ে ব্যর্থ হয় তাহলে ধর্ষিতাকেই উল্টো ৮০ দোররা চাবুক পিটা করা হবে.এই বিভ্রান্তকর নিয়ম অনুসারে ধর্ষিত হওয়ার সময়ে মেয়েটিকে ৪ জন পুরুষ উপস্থিত রেখে ধর্ষিত হতে হবে। নাহলে
তার ধর্ষিত হওয়ার শাস্তি ধর্ষক কে দেয়া হবে না. কি জগন্যতম আইন তাদের একবার ভেবে দেখুন। এই শাস্তি তাদের বিধান অনুযায়ী দেয়া হয়.এটা নাকি তাদের সৃষ্টি করতার সৃষ্ট শাস্তি। এটাই তাদের পবিত্রতা। সবজায়গায় কি ধর্ষণ এর সময় পুরুষ উপস্থিত থাকে ? যে দেশে মেয়েদের কোনো স্বাধীনতা নেই সে দেশএ কেমন শান্তি ? শুধু মাত্র অন্য মেয়ে নয় সৌদি আরবের পবিত্র পুরুষ গণ নানা ভাবে নিজের ঘরের স্ত্রীকে ধর্ষণ নির্যাতন করে থাকে।তার প্রমান ও পাওয়া যায়.এখন
আপনারা বলবেন নিজের স্ত্রীকে কিভাবে ধর্ষণ করে ?বিবাহ পরবর্তী স্বামী কর্তৃক জোরপূর্বক যৌনাচারকে ধর্ষন কি ধর্ষণ নয়?স্ত্রীকে কিভাবে পেটানো যায় সে বিষয়ে বিভিন্ন গাইড লাইন দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই মোল্লারা মুত্তাওয়া রা সরকারী টেলিভিশনে নানা টক শোর আয়োজন করে। তাছাড়া ২০১৩ সালের আগ পর্যন্ত স্ত্রীকে মানসিক নির্যাতন বৈধ ছিলো সৌদি আরবে। ২০১১ সালে করা এক ইসলামী স্কলারে তার ভিডিও দেখতে পারেন।সৌদি আরব গেজেট রিপোর্ট করে , ২০০৯ সালে ২৩ বছর
বয়সী এক অবিবাহিত নারীকে ব্যভিচারের দায়ে ১০০ বেত্রাঘাতের শাস্তি এবং ১ বছরের কারাদণ্ড দেয়াহয়। অথচ লোকমুখে শোনা যায় এই নারীকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল।তাকে মিথ্যা জালে ফাঁসিয়ে শাস্তি প্রদান করে ধোনি মুনিব। সে গর্ভবতি ছিল এবং ভ্রূণটি গর্ভপাত করার চেষ্টা করেছিল কিন্তু বের্থ হয়। প্রসব এর পূর্ব মুহূর্ত প্রজন্ত তাকে চাবুক মারা হয়.তাহলে দেখুন নারী ধর্ষণ হওয়ার শাস্তি নারীকেই উল্টা বহন করতে হয় ধর্ষক কে নয়.আবার ২০১৩ সালে সৌদি আরবের একজন ধার্মিক
হুজুর ৫ বছরের একটি শিশুকে ধর্ষণ ,চরম নির্যাতন করে হত্যা করে .যেখানে তার শাস্তি হয় মাত্র ১ বছর এর কারাদণ্ড।এই তাদের বা পবিত্র দেশের পবিত্র বিচার।তাহলে সৌদি আরবে নারীরা কিভাবে ধর্ষণ এর বিচার চাইবে ? যেখানে ধর্ষণ এর বিচার চেয়ে যদি তাদেরই উল্টো বিচার করা হয়। তাছাড়া গরিব দেশ থেকে আগত নারীরা যারা কাজের সন্ধানে আসে ধর্ষিত হলে
তাদের বেশির ভাগ নারীদের বিয়ে হয় না। সমাজ তাদের ধর্ষিতা কলংকিত, বেস্সা বলে সম্মোধন করে.এইভাবে তাদের সম্মান দেয়া হয় আপনাদের পবিত্র দেশ সৌদি আরবে।যারা ধর্ষণ করে তারা থাকে হুজুর ,পীর আলেম সম্মানিত ব্যক্তি। আর যারা ধর্ষিত হয় যাদের কোনো দোষ নেই তারাই সমাজের পতিতা নারী হয়ে বেঁচে থাকে মরার মতন করে.তাদের এইধার্মিক সাধু মুখোশ এর পিছনে থাকা জঘন্য চেহারা পৃথিবীকে দেখানো গেলেই পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।