ইসলামের নবীকে নিয়ে এই কথাগুলো বললে আপনাকে হত্যা করা হবে
বাংলাদেশে বসবাসকারী একজন পঞ্চাশ বছর বয়সী লোক যদি ছয় বছরের একটি শিশুকে বিয়ে করে, এরপর শিশুটির বয়স নয় বছর হওয়ার পর যদি ওই চুয়ান্ন বছর বয়সী লোকটি শিশুটির সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে বিষয়টি শিশুটির পরিবার কিভাবে দেখবেন? সমাজ কিভাবে দেখবে, রাষ্ট্র কিভাবে দেখবে? এটা কি শিশু ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে না, ছয় বছরের একটি শিশুর পক্ষে ওই বিয়েতে সম্মতি দেয়ার সম্ভাবনা কতটুকু রয়েছে? নয় বছরের একটি শিশু কিভাবে যৌন সম্পর্ক করবে এবং সেটার জন্য সে উপযুক্ত কিনা তাও আবার চুয়ান্ন বছর বয়সী একজন বৃদ্ধ লোকের সাথে এখন ওই লোককে যদি কেউ ধর্ষক বলে সেটা কি অন্যায় হবে? একজন ধর্ষককে ধর্ষক বলার অপরাধে কি কাউকে গ্রেপ্তার করা হবে, এটা কি কোন সভ্য রাষ্ট্রের কল্পনা করা যায়? না, যায় না। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হলেও সত্য বাংলাদেশ এটি প্রতিনিয়ত হয়ে
চলেছে। কথিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্রবান ব্যক্তি যিনি কিনা মুসলমানদের শেষ নবী যার নাম মোহাম্মদ। সেই মোহাম্মদ ছয় বছর বয়সী আয়েশাকে বিয়ে করে এবং নয় বছর বয়সে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে। এই বিষয়টি মনে করিয়ে দিয়ে ফেসবুকে একটি কমেন্টস করার কারণে, ময়মনসিংহের তারাকান্দায় হযরত কে নিয়ে কটুক্তি ও ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে উনিষ বছর বয়সি অহন চন্দ্র দাস নামের এক হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত রবিবার চব্বিশ এপ্রিল দিবাগত রাত একটার দিকে কিশোরগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে তারাকান্দা থানা পুলিশ। আমার প্রিয় বন্ধুরা এই কিশোর কী ভুলটা লিখেছে চলুন বিয়ে সংক্রান্ত ইসলামের অথেন্টিক সোর্স থেকে আমরা জেনে নেই। সত্যিই কি মোহাম্মদ এই
আকাম অর্থাৎ ছয় বছর বয়সে আয়েশাকে বিয়ে করে নয় বছরের সময় তার শয্যাসঙ্গী বানিয়েছে বস্তুত ধর্ষণ করেছে। আমরা যদি সহি বুখারী ভলিউম -৭, বই- ৬২, হাদিস নম্বর ৬৫ হাদিস দেখি, সেখানে আয়শা হতে বর্ণিত তাকে, অর্থাৎ আয়েশাকে ছয় বছর বয়সে বিয়ে করে এবং নয় বছর বয়সে তাদের বিবাহিত জীবন শুরু হয়। মোহাম্মদ কতৃক ভাতিজি আয়েশাকে ৬ বছরে বিয়ে করা এবং ৯ বছরের ধর্ষণ করার দলিল আপনারা আরও যে সকল হাদিস থেকে পাবেন তার মধ্য থেকে আমি পাঁচটি হাদিসের রেফারেন্স দিচ্ছি, এক, বুখারি ভলিয়ম-৯, বই-৮৭, হাদিস নাম্বারঃ ১৪০; দুই, বুখারি বই -৬২, হাদিস-৮৮; তিন, বুখারি বই -৫৮, হাদিস নাম্বার ২৩৬; চার, সুনান আবু দাউদ বই -৪১, হাদিস -৪৯১৫ এবং পাঁচ- মুসলিম বই -৮, হাদিস-৩৩১১।)
আয়েশা এবং মোহাম্মদের এই বিয়েতে আয়েশার বাবা এবং মোহাম্মদের ভাই আবু বক্কর। আপনারা জানেন যে মাহমুদের ভাই আবু বক্কর, যে আবু বক্কর পুরুষের মধ্যে প্রথম ইসলাম গ্রহন করেছিলো। সেই আবু বক্করের যে সম্মতি ছিল না এই বিয়ের বিষয়টিতে সেটি কিন্তু আমরা প্রমাণ পাই বুখারির হাদিস থেকে অর্থাৎ বুখারি হাদিস ভলিওম নং – ৭, বই নং-৬২, হাদিস নাম্বার-১৮। উরসা থেকে বর্ণিত নবী আবু বকরকে তার মেয়ে আয়েশাকে বিয়ে করার ইচ্ছে জানালো আবুবকর বললেন যে, আমি তোমার ভাই এটা কিভাবে সম্ভব, নবী উত্তর দিলো যে আল্লাহর ধর্ম ও কিতাব মোতাবেক আমি তোমার ভাই, রক্ত সম্পর্কিত ভাই নই তাই, আয়শাকে আমি বিয়ে করতেই পারি। প্রিয় দর্শক বন্ধুরা এখানে স্পষ্ট আবুবকরের এই বিয়েতে কোন ভাবেই সম্মতি ছিল না। বয়স্ক চাচার কাছে শিশু ভাতিজিকে বিয়ে আসলে কিভাবে দেবেন এ নিয়ে পিতা
হিসেবে তার সংসয় ছিল কিন্তু রক্তের ভাই নয় ছুতো দেখিয়ে মোহাম্মদ তার শিশু কাম চরিতার্থ করল ও যুক্তির সাহায্যে ধুরন্ধর এর মাধ্যমে। বুখারী মুসলিম সুনানে আবু দাঊদ এই হাদীস গ্রন্থগুলোর সিহাহ সিত্তাহ এর অন্তর্ভুক্ত অর্থাৎ, এসব হাদীস গ্রন্থকে ইসলামিক স্কলাররা রয়েছেন ইসলাম বিশারদরা রয়েছেন তারা অথেন্টিক মনে করেন। অথেন্টিক হিসেবে ধরেন, তো এই হাদিসগুলো থেকে আমরা যে সকল বিষয় স্পষ্ট হই তা আমি একে একে বর্ণনা করছি। ক. মোহাম্মদ ছয় বছর বয়সী আয়েশাকে বিয়ে করেছে, খ. খাদিজা মারা যাওয়ার দুই বছর পর অর্থাৎ মোহাম্মদের বয়স যখন ৫১ তখন শিশু আয়েশাকে মোহাম্মদ বিয়ে করে। গ. নয় বছর বয়সে আয়েশার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে মোহাম্মদ সে সময় মোহম্মদ এর বয়স হয়েছিল ৫৪ বছর।
ঘ. আবুবকর প্রথমে এই বিয়েতে সম্মতি দেয়নি, বয়স্ক চাচার কাছে শিশু ভাতিজিকে কিভাবে বিয়ে দেবেন তা নিয়ে তার মধ্যে সংশয় ছিল কিন্তু ধুরন্ধর মোহাম্মদ আল্লাহর দোহাই দিয়ে তার কাছে এই শিশুকে বিয়ে দিতে বাধ্য করে। এখন এই কথাগুলো যদি কেউ লেখেন বা বলেন তাহলে সেটা ধর্মীয় অনুভূতিতে সুড়সুড়ি দেওয়া হয় কিভাবে অথেনটিক হাদিসে যেটা বলা হয়েছে সেটা বললে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া হবে কেন? এই কথাগুলো তো মোল্লা মুনসিরাও ওয়াজ মাহফিলে বলে বেরাচ্ছেন, তাইনা বন্ধুরা। বললাম সেরা ওয়াজ মাহফিলে বলে বেড়াচ্ছেন তাইনা বন্ধুরা ।
বন্ধুরা এখানেই শেষ নয় বুইড়া মোহম্মদ তার শিশুকাম ঠেকাতে না পেরে থাকতে না পেরে বাচ্চা আয়েশাকে বিয়ে করলেও আয়েশা যুবতী হওয়ার পর পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। এটা অবশ্যই স্বাভাবিক মোহাম্মদের মত একজন বৃদ্ধ লোকের পক্ষে আয়শাকে সন্তুষ্ট করা সম্ভব ছিলনা। তাই আয়শা মোহাম্মদের এক সাহাবির সাথে তথা চ্যালার সাথে পরোকীয়ায় লিপ্ত হয়।
এরপর মোহাম্মদ দু:খে কষ্টে আয়শাকে বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছিল, কথা কয়না আয়শার সাথে, ভাত খায় না ৪০ দিন। এই দিনে ৪০ দিনেও মোহাম্মদ জানতো না তার পেয়ারে কচি বিবি আয়শা সাহাবির সাথে কোন পজিশনে কি করেছে। সে নাকি আবার নবী। মিনিটে মিনিটে যার কাছে জিব্রাইল আশে, যার কাছে এত এত ওহী আসে বার্তা নিয়ে আসে, সে জিবরাঈল কিন্তু আর আসছে না আমরা দেখতে পেলাম এই ঘটনার পর মোহাম্মদের নেটওয়ার্ক ঝির ঝির ঝির ঝির মোহাম্মদের এন্টেনা আর আল্লাহর টাওয়ার খুঁজে পায়না। জিব্রাইল আসেনা কোন বার্তা আসেনা। একছের কষ্ট একছের কষ্ট।
যাইহোক এই ঘটনাটি আমার কোন দাবি নয়। এটি হাদিস বলছে, মোল্লারা বলছে তাদের মুখ থেকে শুনুন। প্রিয়, বন্ধুরা যদি এই ঘটনা গুলোকে উল্লেখ করা কে কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত বিবেচনা করতে হয় তাহলে হাদিসগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে হবে সবার আগে এরপর বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর প্রায় সব মুল্লাদের জেলে ঢোকাতে হবে। যদি এই হাদিস গুলো মিথ্যা হয় জাল হাদিস হয় তাহলে এই মোল্লা মসজিদের কথা যদি মিথ্যাও হয় তবে এগুলোর বিরুদ্ধে শক্ত প্রমান দাঁড় করিয়ে এগুলোকে বুখারী মুসলিম, আবু দাঊদ থেকে বাদ দিয়ে দেয়া হোক। একদিকে হাদিসে এগুলো থাকবে মোল্লারা এ
বলে বেরাবে গুলোকে ওয়াজ মাহফিলে নিষিদ্ধ করা হোক একদিকে হাদিসের বই গুলোতে এগুলো থাকবে মোল্লারা সেগুলো কে বলে বেড়াবে তাতে কারোরি কোনো দোষ হবে না কিন্তু এগুলো নিয়ে কেউ কথা বলতে গেলে লিখতে গেলেই আপনারা কোপাবেন তাদের ঘরবাড়িতে আগুন দেবেন, এলাকাছাড়া করবেন, গ্রেপ্তার করবেন, হাজতবাস করাবেন এসবতো মহা অন্যায়। একটু আগে যেটা আমি বলছিলাম বন্ধুরা কথিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ চরিত্রবান ৬ বছর বয়সের আয়েশাকে বিয়ে করে এবং ৯ বছর বয়সে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক করা নিয়ে ফেসবুকের একটি কমেন্ট কে ভিত্তি করে একটি কমেন্ট কে নিয়ে ব্যাপক ধর্ম মাতালদের মাতামাতি কে কেন্দ্র করে ময়মসিংহের তারাকান্দায় হযরতকে নিয়ে কটূক্তি ও
ধর্মীয় উস্কানির অভিযোগে এনে অহন চন্দ্র দাস নামের ১৯ বছরের এক হিন্দু যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তারাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের এ বিষয়ে একটি স্থানীয় অনলাইন পোর্টাল কে বলেন যে কয়েকদিন আগে অহন চন্দ্র দাস হযরত মুহাম্মদ কে নিয়ে কটুক্তি করে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায় । কিন্তু এদিকে অহন চন্দ্র দাসের ফেসবুক পোস্টটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। তাই বিশৃংখল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার আগেই অভিযান চালিয়ে যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আমার প্রিয় বন্ধুরা আমি এই নির্ভরযোগ্য সূত্রে খবর পেয়েছি যে, ওই ওসি অর্থাৎ আবুল খায়ের অত্যান্ত ধর্মান্ধ একজন পুলিশ তাই সে অহন চন্দ্র দাসকে শুধু গ্রেপ্তারি করেনি থানার লকআপে এনে অমানবিক প্রহার করেছে, বিষয়টি নিয়ে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে পরবর্তী ভিডিওতে আমি কথা বলব।
আগে যেমনটা বলছিলাম বন্ধুরা যেভাবে উল্লেখ করেছি যে হাদিস কুরআনে উল্লেখ করা বিষয়টিকে নিয়ে কেউ লিখলে সেটা অপরাধ হবে কেন এবং দ্বিতীয়তো শান্তির ধর্মের অনুসারীরা সবসময় দাবি করে যে তাদের নবী মোহাম্মদ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানব, সবচেয়ে চরিত্রবান ব্যক্তি অনুকরণীয় অনুসরণীয় এখন যদি কেউ প্রশ্ন করেন যে তিনি সত্যি সত্যি যদি সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হবেন তবে তার চরিত্র যাচাই বাছাই করা যাক এবং আসলেই চরিত্রবান কিনা এবং অনুকরণীয় কিনা এবং এগুলোকে যুক্তির কষ্টিপাথরে যদি কেউ যাচাই করতে চায় তাহলে তো সেই যাচাই করতে গিয়েই এই শিশু বিবাহ এবং শিশু সহবাসের যা কিনা আধুনিক সভ্য সমাজে ধর্ষণ বলে বিবেচিত হয় তো এই কথাগুলো দেখে যদি কেউ সেগুলো উল্লেখ
করেন কিংবা এই অন্যায়ের সমালোচনা করেন তবে সেটা অন্যায় হবে কেন? অন্যায়ের সমালোচনা করা কিভাবে অন্যায় হতে পারে, এই প্রশ্নটিই আপনাদের কাছে ছুঁড়ে দিচ্ছি। কথিত নবী মোহাম্মদের এই বিষয়টিই হাদীসে উল্লেখ করা ছাড়াও ধর্ম ব্যবসাইরা বা ধর্মব্যবসায়ী মোল্লারা তাদের ওয়াজে এ বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলে ইনিয়ে-বিনিয়ে এগুলোকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করে। এছাড়া মোহাম্মদের দাসি সহবত, গনিমতের মাল সহবত, পালিত ছেলে অর্থাৎ যায়েদের যে স্ত্রী জয়নবকে বিয়ে করা। নিজের পুত্র সন্তানের স্ত্রীকে বিয়ে করার মতো জঘন্য কাজ নিজের মেয়ে ফাতেমা কে আপন চাচাতো ভাই আলীর কাছে বিয়ে দেয়াকে নৈতিক যারা মনে করে এগুলো স্বপক্ষে ওয়াজ মাহফিলে সাফাই গায় সেই মোল্লারা যখন এই কথাগুলো
বলে তাদের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ ওঠে না তাদের ফাঁসির দাবিতে হুক্কাহুয়া রব ওঠে না পুলিশ এদের গ্রেফতার করেনা এরা বলতে পারলে কেন অন্যরা বলতে পারবে না? যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে আচরণ করছেন তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হবে তারা কেন গ্রেপ্তার হবেন প্রশাসন ও ধর্মান্ধ মুসলমানদের মধ্যে এই দ্বিচারিতা কেন বন্ধুরা এই প্রশ্নটি আপনাদের কাছে রাখছি। ধর্মান্ধদের দ্বিচারিতার উদাহরণ হিসেবে আপনাদের মনে করিয়ে আমি আরেকটি বিষয় দিতে চাই যে মোহাম্মদ বিড়াল নামক একটা শিশুতোষ কার্টুন যেটি 1998 থেকে 1999 সালের দিকে রগকাটা ছাত্র সংগঠন শিবিরের মাসিক পত্রিকা কিশোরকণ্ঠে ছাপা হয়েছিল, সেসময় কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগেনি। কিন্তু একই কার্টুন
যখন 2009 সালের প্রথম দিকে প্রথম আলোর আলপিন ছাপা হয় তখন সারাদেশে কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমানের বিরুদ্ধে ফাঁসির দাবিতে অচলাবস্থা সৃষ্টি করে ধর্মান্ধ মুসলমানরা এদের শান্ত করার জন্য কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং অনেক দিন জেল খাটিয়ে অবশেষে দেশ ছাড়া করতে বাধ্য করা হয় তাকে এরপর থেকে তিনি অনেকভাবে দেশে আসার চেষ্টা করলেও তাকে দেশে ঢুকতে দেয়া হয়নি ধর্মব্যবসায়ী আজহারী যে মোহাম্মদের স্ত্রী খাদিজা কে বুড়ি বলেছে, ভার্জিন নয় বলে কথা বলেছে ওয়াজ মাহফিলে এবং সেটি একটি ওয়জে নয় বেশ কয়টি ওয়াজে সেই বক্তব্য রেখেছে তাতে কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো হুক্কাহুয়া রব আসেনি।
বন্ধুরা খেয়াল করে ভিডিও গুলা দেখবেন। এই মোল্লার ফাঁসির দাবিতে কাউকে মাঠে নামতে দেখা যায়নি। এই কথা যদি আজহারির মতো পরিচিত কোন সেকুলার অথবা অমুসলিম কেউ বলতেন তাহলে তার ফাঁসির দাবিতে দেশ অচল করে দেয়া হতো। জঙ্গিরা সুযোগ পেলে জবাই করে ফেলত ওই ব্যক্তিকে ।অতএব এটা স্পষ্ট যে মুসলমানরা ধর্মানুভুতিতে আঘাতের অজুহাত দেখায় এটা সেলেক্টিভ অবশ্যই সেলেক্টিভ এটা অমুসলিমদের হয়রানির হাতিয়ার মাত্র। বিশেষ করে ধর্মানুভুতিতে আঘাতের ছুতোয় নাস্তিক ব্লগারদের জবাই এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিপীড়ন ঘরবাড়িতে আগুন মন্দিরে ঢুকে প্রতিমা ভাঙচুর জেল-জুলুমের আমরা ঘটনা দেখতে পাই এগুলোকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে ধর্মান্ধ মুসলমানরা দুঃখজনক ভাবে রাষ্ট্র এই অন্যায় প্রাক্টিস বন্ধ করার বদলে অনুভূতি সুরক্ষার নামে দেশের সর্বত্র ধর্মানুভুতিতে আঘাতের ছুতোযর যে মহামারীর আকার ধারণ করতে উৎসাহিত করছে সেটি অত্যন্ত লজ্জাজনক ধর্মীয় অনুভূতি একটি আপেক্ষিক বিষয়।
আপনার কাছে যেটি ধর্ম অন্যর কাছে সেটা কুসংষ্কার হতে পারে, আপনার কাছে যেটি মহান অন্যর কাছে সেটি ক্রাইম হতে পারে। সুতরাং, এই আপেক্ষিক বিষয় নিয়ে টানা হেচরার পরিমান বেশ ভয়াবহ, যেমন ধরুন মোহাম্মদের লুঙ্গি ধরে টানা টানি করতে আমার ব্যক্তিগত ভাবে ভাললাগেনা, জীবনের এই কালো অধ্যায়গুলোকে নিয়ে নাড়াচারা করতে আমার সত্যিকার অর্থে বিরক্ত লাগে। অনেকে মনে করেন আমি হয়ত কিছু কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে আমি খুশি করতে চাই আমি হয়ত সামনে বা ভোটে দাড়াবো এরকম কোন কিছুই আমি তোয়াক্কা করিনা এবং কোন কিছু ভাবিনা আমার জাস্ট বিরক্ত লাগে। আপনারা জানেন নিশ্চয় আবর্জনা ঘাটলে দুর্ঘন্ধ বের হয়। কিন্তু ধর্মান্ধরাই কিন্তু আমাকে বাধ্য করছে এসব বিষয় সামনে নিয়ে
আসতে। কোথায় কোন কিশোর ফেসবুকের কোন এক কমেন্টে কি বলেছে সেটাতে যদি আপনাদের ধর্মানুভুতি জাগ্রত হয়েই যায় তাহলে কেন লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনে মোহাম্মদের এই কুৎসিত চরিত্রের সামনে তুলে ধরা হবেনা এই চরিত্রকে কেন জানানো হবেনা। এই কিশোরের কমেন্ট হয়ত সর্বোচ্চ দশজন দেখছেন, এবং আমার পক্ষ থেকে এইযে ভিডিওটি আপনারা দেখছেন এটি লক্ষ কোটি মানুষ দেখছেন, এবার আপনাদের কেমন লাগে আপনাদের ধর্মানুভূতি কোথায় যায়, সেটি একবার অনুধাবন করুন। মানে শান্তিতে থাকতে কোন ভাবে ভাললাগেনা। এবার লন মজা বুঝেন। সুতরাং বন্ধরা সভ্যতা টিকিয়ে রাখতে হলে অচিরেই এই অন্যায় বন্ধ করতে হবে, সরকারকে একচোখা অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে, তবেই এই সমাজকে আমরা দূষণ মুক্ত করতে পারবো, ধর্মান্ধ মুসলমানদের বিবেগ জাগ্রত হবে।